আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: হিজাব না পরা নারীদের প্রতি কঠোর না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, ইরানের পর্যটন ও ঐতিহ্যবিষয়ক মন্ত্রী ইজ্জাতুল্লাহ জারঘামি।
২৫ জানুয়ারি, বুধবার ইজ্জাতুল্লাহ জারঘামি একটি সরকারি বৈঠকের পর জানিয়েছেন, ১৬ সেপ্টেম্বর আমিনির মৃত্যুর পর থেকে হিজাব না পরা নারীদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত দেশে কট্টর মানসিকতা বিরাজমান, কিন্তু জনগণের প্রতি আমরা আর কঠোর হতে পারি না।'
২৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার ইরানি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ এবং বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র এ খবর প্রকাশ করেছে। খবর এএফপি
উক্ত বৈঠকের পর তিনি আরও বলেছেন, ‘পর্যটনের বিকাশ এবং সামাজিক জীবন উন্নত করতে, আপনাকে আরও উদার হতে হবে। মানুষকে বুঝতে হবে এবং তাদের সাথে কঠোর হওয়া যাবে না।'
ইরানি এই মন্ত্রী ওই সকল পুরুষকে চোখ বন্ধ করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন, হিজাব না পরা নারীদের দেখলে যাদের সমস্যা হয়।
মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানের নৈতিকতা পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইজ্জাতুল্লাহ জারঘামি। ফলে অতি রক্ষণশীলদের পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনার স্বীকার হয়েছিলেন তিনি।
এদিকে মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া হিজাববিরোধী আন্দোলনের পর হিজাব ছাড়াই ইরানি নারীদের রাস্তায় দেখা গিয়েছিল। নৈতিকতা পুলিশ ইউনিটকেও তখন বেশি দেখা যায় নি। কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকে হিজাবের বিষয়ে আবারও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সতর্ক করে বলেছে যে, গাড়িতেও নারীদের হিজাব পরা আবশ্যক।
জানুয়ারির শুরুতে প্রসিকিউটর জেনারেলের জারিকৃত একটি নির্দেশনায় দেখা গেছে, পুলিশকে যে কোনো হিজাব লঙ্ঘনকারীকে দৃঢ়ভাবে শাস্তি দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি নামের এক কুর্দি তরুণী পুলিশ হেফাজতে মারা গেলে ইরানে হিজাববিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়। যা এখনও চলমান। এই বিক্ষোভে শত শত মানুষ নিহত এবং হাজারেরও বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে।
-এটি