নাজমুল হাসান সাকিব: বাংলাদেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা ও মানবসেবামূলক প্রতিষ্ঠান আল মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মুফতী শহিদুল ইসলাম (এমপি) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মুফতি শহিদুল ইসলামের জানাজার নামাজ বাদ জুমা বাইতুল মোকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২:৩০ মিনিটে রবের ডাকে সাড়া দেন। তখন তিনি মানিকগঞ্জে তার প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা আবু হুরায়রায় অবস্থান করছিলেন। তাঁর বয়স ৬৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, প্রেসারসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন।
রাত রাত দুইটার সময় আল মারকাজুল ইসলামী ‘র ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে বাংলা, ইংরেজি, আরবি ও উর্দু চার ভাষায় জানানো হয়, মুফতি শহিদুল ইসলাম এমপি ইন্তেকাল করেছেন।
১৯৮৮ সালে মুফতি শহিদুল ইসলাম (এমপি) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আল মারকাজুল ইসলামী ঢাকাসহ দেশের আনাচে কানাচে পর্যন্ত প্রায় সব রকমের মানবসেবামূলক কাজ করে আসছে। হাসপাতাল, এম্বুলেন্স সার্ভিস থেকে শুরু করে বহু ক্ষেত্রে মানবসেবামূলক অবদান রেখেছে এই প্রতিষ্ঠান। বিশেষত করোনা দুর্যোগকালীন ত্রাণ বিতরণসহ করোনা আক্রান্তদের লাশ দাফন করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে এর অনেকগুলো স্বেচ্ছাসেবক টিম।
মুফতী তি শহিদুল ইসলাম (এমপি) রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন মিডল ইস্টে বসবাসরত ছিলেন। তবে কিছুদিন আগে তিনি দেশে এসেছিলেন।
মুফতি শহীদুল ইসলাম একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও নড়াইল-২ আসনের সাবেক সাংসদ। তিনি ২০০২ সালের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ছিলেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি।
মুফতি শহীদুল ইসলাম ১৫ মার্চ ১৯৬০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুরের ঝিলটুলী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈত্রিক নিবাস নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায়। তার পিতা শামসুল হক সরদার। তিনি পাকিস্তানের করাচী নিউটাউন মাদরাসা থেকে ১৯৮৮ সালে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) ডিগ্রি অর্জনের পর মুফতী (ইসলামি আইনশাস্ত্রের পণ্ডিত) ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি এ দলের চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের মজলিমে শূরার সদস্য ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ছিলেন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে শেখ হাসিনার কাছে ৪ হাজার ২৩৩ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে শহীদুল বিজয়ী হন।
-এটি