কাউসার লাবীব: ইজতেমা আয়োজন শেষে প্রশাসনের কাছে মাঠ হস্তান্তর করেছেন মাওলানা সাদ অনুসারীরা। আওয়ার ইসলামকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাওলানা সাদ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম।
তিনি জানান, বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা’র কেন্দ্রীয় সমন্বয় কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমার জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মহিবুল্লাহ গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনিসুর রহমানের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আয়োজক মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের কাছ থেকে মাঠ বুঝে নেওয়া হয়েছে। মাঠ এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, গত ২২ জানুয়ারি (রোববার) মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার সব আয়োজন শেষ হলেও মাঠের প্যান্ডেল, সামিয়ানা, স্টেজ খোলার কোনো আয়োজন নেই। কবে কখন ইজতেমার মাঠ খালি করা শুরু হবে তা নিয়েও নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি তাবলিগের উভয় পক্ষ। তারা চেয়ে আছেন প্রশাসনের নির্দেশের দিকে। কেননা উভয় পক্ষই চাচ্ছে ময়দান খালি করার কাজে অংশ নিতে।
শূরায়ী নেজামের মুরব্বি শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, যারা ময়দান প্রস্তুত করেন, তারাই সবকিছু গুছিয়ে রাখেন। এটাই সব সময় হয়ে আসছে। আমরা যেহেতু ময়দান প্রস্তুত করেছি, সরকারী নির্দেশনা পেলে ময়দান সাফাই, সামিয়ানা খোলার কাজ আমরা করতে চাই।
এদিকে মাওলানা সাদ অনুসারীদের পক্ষ থেকে মো. সায়েম বলেন, ‘আমরা সময় মতো প্রশাসনকে মাঠ বুঝিয়ে দিয়েছি। জেলা প্রশাসক আমাদের বলেছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কাছ থেকে যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে সে মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী বছর ইজতেমায় আমরা প্রথম পর্বের আয়োজন করতে চাচ্ছি। তাই আগামী বছর আমাদেরকেই মাঠ প্রস্তুত করতে হবে। সে হিসেবে আমরা মাঠের শামিয়ানা খোলাসহ যাবতীয় কাজ করতে চাই। সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি।
গত রোববার (২২ জানুয়ারি) শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক আয়োজন। তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিরোধের কারণে এবারও আলাদা আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা। ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি শূরায়ী নেজামের অনুসারীরা বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করেন। এর দুই দিন পর ইজতেমা মাঠ বুঝিয়ে দেওয়া হয় মাওলানা সাদ অনুসারীদের। তারা ২০ জানুয়ারি থেকে ইজতেমা শুরু করেন এবং ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ করেন।
কেএল/