কাউসার লাবীব: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মতো কিছু পাঠ্যক্রমে রাখা হবে না, থাকলে সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাঠ্য বইয়ের অসঙ্গতি, ভুল বা অস্বস্তি সংশোধনের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের কথাও বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, এই কমিটিতে থাকবেন ধর্মীয় বিশেষজ্ঞগণ। শিক্ষামন্ত্রীর এই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাদেরকে রাখা উচিৎ? এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. আফম খালিদ হুসাইনের কাছে।
তিনি বলেন, পাঠ্য বইয়ের অসঙ্গতি, ভুল বা অস্বস্তি সংশোধনের জন্য ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ কমিটিতে আলিয়া ও কওমি এই দুই অঙ্গন থেকেই শিক্ষাবিদ আলেমদেরকে নেয়া উচিৎ। সরকারী কোনো কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় শুধু দলীয় লোকদেরকে বাছাই করা হয়। এক্ষেত্রে যদি এমন হয় তাহলে পাঠ্যপুস্তক কতটা নির্ভুল হবে সেই প্রশ্ন থেকে যায়। দলীয় হোক বা নির্দলীয়; এক্ষেত্রে আমাদের শিশুদের ভবিষ্যত বিনির্মানে যারা সচেতন তাদেরকেই রাখতে হবে।
আলিয়া মাদরাসার সিলেবাস আগে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবেই তৈরি করা হতো। কিন্তু এ বছর প্রথম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির স্কুলের বই দেয়া হয়েছে আলিয়া মাদরাসায়। আমি আহ্বান করবো আলিয়া মাদরাসার বইগুলো যেন সম্পূর্ণ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকেই প্রণয়ন করা হয়। -বলেন, আফম খালিদ হুসাইন
তিনি যোগ করেন, ইতোমধ্যেই অসঙ্গতি ও ভুলে ভরা পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। আশা করবো যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হচ্ছে তাদের সহায়তায় অতিদ্রুত সংশোধিত বই শিক্ষার্থীরা পাবেন। সংশোধিত বই তাদেরকে হাতে তুলে দেয়ার সময় অবশ্যই আগের ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে হবে। এবং এখনকার বইগুলো পড়ানোর শিক্ষকদেরকে সচেতনতার সঙ্গে পড়াতে হবে।
কেএল/