মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।
মজলিসে লোকজন বেশি হওয়াতে স্থান সংকুলন হচ্ছিলো না। এতে উপস্থিত লোকজনের চেহারাতে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছিলো। তখন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে হজরত বলেন, আপনারা মনোযোগ দিয়ে শুনুন!
আমি একটি মূল্যবান কথা আপনাদের সামনে পেশ করতে যাচ্ছি। সেটি হলো ‘অবস্থা যখন নিজের চাহিদা অনুযায়ী আসে, তখন এর জন্যে শুকর আদায় করা।
আর অবস্থা যখন নিজের চাহিদার বিপরিত চলে আসে, তখন এর জন্যে সবর করা’। আল্লাহওয়ালাগণ মনের চাহিদার বিপরিত অবস্থা যখন চলে আসে, তখন সে সমস্যা কাটিয়ে উঠার জন্যে একটি মূল্যবান প্রেস্কিপশন দিয়ে গেছেন। ডাক্তারগণ তো ক্যাপসুল দিয়ে থাকেন। আমাদের আল্লাহওয়ালাগণের কাছে এসব ক্যাপসুল—ট্যাপসুল কিছুই নেই। তাঁরা এমনিভাবে চিকিৎসা করেন।
সেই প্রেস্কিপশন হলো এই ‘যখন কারো উপর কোন মসিবত, পেরেশানী চলে আসবে, তখন সে এইভেবে আল্লাহ তায়ালা র কাছে শুকরিয়া আদায় করবে যে, এই মসিবত থেকে বড় মসিবত আসেনি। এই পেরেশানী থেকে বড় পেরেশানী আসেনি। যদি এরচেয়ে বড় মসিবত বা পেরেশানী আসতো, তখন আমার কী উপায় হতো? আমাকে আল্লাহ তায়ালা ছোট মসিবত দিয়েছেন— আলহামদুলিল্লাহি তায়ালা।
তিনি বলেন, লোকজনকে বলতে শোনা যায়, দু—ই ঘন্টার জন্যে কারেন্ট চলে গেছে! তিনি বলেন, আরে ভাই! চার ঘন্টার জন্যে যে কারেন্ট চলে যায়নি, সেজন্যে আল্লাহ তায়ালা র শুকরিয়া আদায় করো। যদি চার ঘন্টার জন্যে চলে যেতো, তাহলে তোমার কী করার ছিলো? তুমি কী করতে পারতে?
হায়দারাবাদে সফর ছিলো। কোন কারণবশত দুই ঘন্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয়। আমাদের সাথে অন্য লোকজনও গাড়িতে ছিলো। তখন আমি বললাম (লেখক নিজে) হজরত ! এই সুযোগে বড়দের কিছু নসিহত আমাদেরকে শুনিয়ে দিলে আমরা উপকৃত হতাম। তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ ভাই! ঠিক আছে। আমি তোমাদেরকে বলতেছি, ‘গাড়িতে যে আমাদের চার ঘন্টা বসে থাকতে হয়নি, সেজন্যে তোমরা আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করো’। এটিই হলো বড়দের নসিহত।
এই কথা শুনে আমরা সকলেই বলে ওঠি ‘আপনি আমাদের সকল পেরেশানী এই মূল্যবান নসিহত দ্বারা দূর করে দিলেন’।
-এটি