শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন ১৬ টি বছর জুলুম-ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিল মাদরাসার ছাত্ররা: ড. শামছুল আলম  ‘সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন’

আবেগঘন পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়লেন ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ খ্যাত ইবিট লিও

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব: মালয়েশিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’খ্যাত আলোচিত দাঈ ও সমাজকর্মী ওস্তাদ ইবিট লিও ঢাকা ছেড়েছেন। গতরাত আনুমানিক ১১টার দিকে তিনি একটি বিশেষ ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

এর আগে তিনি গত বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশে এসেছিলেন। বাংলাদেশে এসে তিনি খোলা রিক্সায় ঘুরে বেড়ানোর একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন ‘Alhamdulillah. I Love ❤️ Bangladesh.’ এরপর তার বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে যতটুকু জানা যায়, তিনি এ দুই দিনের সফরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

সফর শেষে তিনি বাংলাদেশ ছাড়ার সময় এক আবেগঘন পোস্ট দেন নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে। এতে তিনি লিখেন, ‘আমার জন্য দোয়া করবেন , আমি মালয়েশিয়াতে ফিরে যাচ্ছি ৷ আমি আমার অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের মানুষদের প্রতি , আমাকে এত আন্তরিকতা এবং ভালোবাসা দেওয়ার জন্য ৷ আমি যত দূরেই থাকি না কেন আপনারা সবাই আমার অন্তরে আছেন এবং থাকবেন ৷ আমরা সবাই একটি পরিবার।’

আলোচিত দাঈ ইবিট লিও একজন মালয়েশিয়ান চাইনিজ মুসলিম। তিনি মালয়েশিয়ার মুসলিম উদ্যোক্তা এবং ধর্ম প্রচারক হিসেবে সব মহলে এভিট লিও নামে পরিচিত। তার পুরো নাম-ইবিট ইরাওয়ান বিন ইব্রাহিম লিও। ১৯৮৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন। তার পিতার নাম মুয়াডজম শাহে লিউ ইউ পাউ। ১১ জন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। দ্বীনকে অনুসরণ করে ১২ বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি স্কুল (সেকোলাহ) কেবাংসান বুকিত রিদান, সেকোলাহ মেননগাহ কেবাংসান মুয়াডজম শাহ, পাহাং সেকোলাহ মেননগাহ টেকনিক জহুর বারু, এবং সেকোলা মেননগাহ কেবাংসান আবদুল রহমান তালিব, পাহাং থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইবিট লিও দাতু ডা. হাজী মোহাম্মদ ফাদজিল্লাহ কামসাহ এবং অধ্যাপক হানিম তাহিরের পরিচালনায় এক্সেল প্রশিক্ষণের মোটিভেশনাল স্পিকার। তিনি সকলের প্রেরণাদানকারী, ইসলাম আগামা, ইসলাম ইতু ইন্দাহ, উসরাহ নূরানী, এবং আইকেআইএম এবং সিনার রেডিওর নিয়মিত বক্তা।

ইবিট লিও ২০১৫ সালে ‘মওলিদুর রসুল’ জাতীয় পুরস্কার এবং ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় যুব দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সমাজ বিনির্মাণে এবং মহামারি করোনার সময়ে মানব কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখায় জাতীয় যুব দিবসের বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। এছাড়াও মানব কল্যাণে অবদান রাখায় সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময় তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ