আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পৃথিবীর সব খাদ্যের সেরা খাদ্য দুধ। সর্বোচ্চ পুষ্টিমানের জন্যই দুধের শ্রেষ্ঠত্ব। দুধের অপরিহার্য উপাদান ল্যাকটোজ, যা দৈহিক গঠন, বিকাশ ও মেধা বৃদ্ধিতে সহায়ক। মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার মূল উপাদান দুধ। এসবসহ দুধে নানান ধরনের উপকারিতা রয়েছে।
পবিত্র কুরআনে দুধ পানের ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘গবাদি পশুর ভেতরে তোমাদের জন্য শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত রয়েছে। তাদের পেটে যা আছে তা থেকে তোমাদের পান করাই (দুধ) এবং এতে তোমাদের জন্য নানা উপকার রয়েছে। তোমরা তা থেকে খাও (গোশত)।’ (সূরা মুমিনুন: ২১)
অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তুদের মধ্যে চিন্তা করার সুযোগ রয়েছে। আমি তোমাদের তাদের উদরস্থিত বস্তুসমূহের মধ্য থেকে রক্ত ও গোবর নিঃসৃত দুগ্ধ; যা পানকারীদের জন্য উপকারী।’ (সূরা: নাহল; মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ৬৬)
বিশ্বনবী সা. নিজেও দুধ পান করতে পছন্দ করতেন। ইমাম তিরমিযি রহ. এর বর্ণিত এক হাদিসে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, দুধ ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সবচেয়ে পছন্দের পানীয়সমূহের একটি। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, দুধ ছাড়া অন্য কোনো পানীয়ের মধ্যে খাদ্য ও পানীয়ের উপাদান একসঙ্গে পাওয়া যায় না।
নবীজী সা. দুধের হাদিয়া কখনোই ফেরাতেন না। হাদিস থেকে জানা যায়, ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, তিনটি বস্তু ফিরিয়ে দেয়া যায় না। বালিশ, সুগন্ধি তেল বা দ্রব্য এবং দুধ।’ (তিরমিজি)
রাসুলুল্লাহ সা. দুধ পানের পর একটি বিশেষ দোয়া পাঠ করতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, বিশ্বনবী বলেন, যখন তোমাদের কেউ দুধ পান করে, এই দোয়া পাঠ করবে। তাহলো—
اَللَّهُمَّ بَاركْ لنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিহি ওয়াজিদনা মিনহু।’
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের এই খাবারে বরকত দিন এবং তা বাড়িয়ে দিন। (আবু দাউদ: ৩৭৩২)
-এসআর