আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হজযাত্রায় নতুন আইন জারি করেছে। জানিয়েছে, চলতি বছরের বিদেশি হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ফি পরিশোধের পরই হজ পালনের অনুমতি দেবে তারা।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ বছরের হজ যাত্রা সম্পাদনের জন্য রিজার্ভেশন নিশ্চিতকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ফি সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে মন্ত্রণালয় বলেছিল, সৌদির নাগরিকদের জন্য অবশ্য এ ক্ষেত্রে খানিকটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। নাগরিকদের একটি অংশ হজ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবার ফি তিন কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন। তবে কোন কোন নাগরিক এই সুবিধা পাবেন, তা নির্ধারণে লটারি করা হবে। সেখানে যেসব আবেদনকারীর নাম উঠবে— তারাই পাবেন এ সুবিধা।
চলতি বছর সৌদির অভ্যন্তরীণ হজযাত্রীদের জন্য ফি ধরা হয়েছে ন্যূনতম ৩ হাজার ৯৮৪ রিয়াল থেকে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৮৪১ রিয়াল। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ন্যূনতম ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৮ টাকা। মূলত হজকালীন আবাসন, যাতায়াত ও অন্যান্য বিভিন্ন সেবা বাবদ নির্ধারণ করা হয়েছে এসব ফি।
ইসলামের প্রধান পাঁচটি স্তম্ভের একটি হলো হজ। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা অত্যাবশকীয় (ফরজ)।
এরই মধ্যে ২০২৩ সালের হজ মৌসুমের জন্য করোনা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সৌদি আরব। ফলে করোনার আগের সময়ের মতোই এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় এমন তথ্য জানায়।
২০১৯ সালে মহামারি আঘাত হানার আগের বছর প্রায় ২৬ লাখ মানুষ হজ করেছিলেন। ২০২০ এবং ২০২১ সালে সীমিত সংখ্যক মানুষকে হজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে ২০২২ সালে ১০ লাখ মুসলিম হজ পালন করেন। গত বছর ওমরা পালন করেছেন প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ মুসলিম।
২০২৩ সালের ২৬ জুন হজ মৌসুম শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সৌদি আরব বরাবরের মতো এবারের হজ নিয়েও ব্যাপক পরিকল্পনা ও নিরাপত্তার বিষয়টি হাতে নিয়েছে। বিদেশি হজযাত্রীরা শিগগিরই ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এই বছরের হজের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
-এটি