বয়ান: মাওলানা ইবরাহীম দেওলা
অনুবাদ: রশিদ আহমদ কাসেমী
ইজতেমায় প্রতি বছরই আলেমদের উদ্দেশে খাস বয়ান হয়। এবার বয়ান করেন তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।
তিনি বলেন, আপনাদেরকে خطاب (সম্বোধন) করে কোনো কথা বলা হবেনা, আপনারা প্রত্যেকেই হলেন আহলে খিতাব! বরং التماس (আর্জি) হিসাবে কয়েকটা কথা পেশ করবো! শেষে বললেন, আপনারা তাবলীগ করেন এটা আমরা বলি না, বরং আমরা চাই আপনারা এই কাজের জন্য معاوِن بنے সহযোগী হিসাবে থাকেন৷
তিনি বলেন, আমরা একবার জর্ডানে যাই তাবলীগের কাজে৷ সাথীদেরকে পুলিশ আটকালো, তখন তারা পুলিশকে সব খুলে বলার পর পুলিশ প্রধান জর্ডানের শরীয়া কাউন্সিলের প্রধানের কাছে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন, এদের সম্পর্কে আপনার মতামত কি? তাদেরকে তো আমরা আটকে রেখেছি, তখন সেই আলেম জবাব দিলেন, خلهم !هم الربانيون. তাঁদেরকে ছেড়ে দিন! এরা আল্লাহ ওয়ালা, হক্ব জামাত।
এরপর থেকে জর্ডানে রাষ্ট্রীয়ভাবে জোরে সুরে তাবলীগের কাজ চালু হয়ে গেছে৷ একজন আলেমের অর্ধ লাইনের ছোট্ট একটি কথায় সারা দেশে যবরদস্তভাবে তাবলীগ চালু হয়ে গেছে৷
কাজেই আলেমদেরকে তাবলীগ করতে বলি না, আমরা চাই আপনারা আমাদের জন্য কেবল সহযোগী বনেন৷ কয়েক হাজার বিদেশী জামাত আসছে, আওয়ামরা তো আরবী উর্দূ জানেনা, আপনারা তাদেরকে সহযোগিতা না করলে খুবই মুশকিল হালত সামনে আসবে৷
কথাগুলো শুনার পর বহু আলেমের চোখে পানি দেখলাম, যখন এক সালের জন্য তাশকীল করা হল, বহু আলেমকে দাঁড়াতে দেখলাম, আমার মনে হল, পুরো মজমার সাত ভাগের এক ভাগই সালের জন্য দাঁড়িয়েছেন, আমারও মন চেয়েছিল দাঁড়াইআল্লাহ তাআলা তাঁদের কথায় কি যে রূহানিয়্যাত দান করেছেন!! সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী!
উলামাদের বয়ানের সময়, মিম্বারের উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় উলামাগণ উপস্থিত আছেন, বিশেষত হাফেজ্জী হুজুর রহ এর সাহেবজাদা হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, হাটহাজারী মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতী জসীম উদ্দীন সাহেব, মধুপুরের পীর সাহেব মাওলানা আব্দুল হামীদ সাহেব, বেফাক হাইআহ'র প্রধান মাওলানা মাহমুদুল হাসানসহ উলামায়ে কিরাম উপস্থিত ছিলেন৷ (হাফিযাহুমুল্লাহু ওয়া রাআহুম) আল্লাহ তাআলা এই ইজতিমাকে কবুল করুন, উম্মতের হিদায়াতের যরীআহ বানান আমীন৷
-এটি