আবদুর রহমান- ঢাকার অদূরে তুরাগতীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত মুসলমানদের অন্যতম দ্বীনি কাফেলা তাবলীগ-জামাতের বার্ষিক সম্মেলন টঙ্গী ইজতেমা! ১৩ই জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাথীদের আগমনে ১১তারিখেই ময়দান প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়। এবং যথারীতি আমলও শুরু হয়ে যায়।
ইজতেমায় সাথীগন আসেন দ্বীনের ছবক নিতে, জীবন গঠনের পাঠ নিতে। শতকষ্ট ও প্রতিকূলতার মধ্যেও এখানে দেখা যায় দ্বীনি ভ্রাতৃত্বের অপূর্ব নজির। নিজ প্রয়োজন পিছনে ফেলে অপর সাথীভাইয়ের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেওয়ার এক অপূর্ব অনুশীলন চোখে পড়ে! কোনো অভিযোগ নেই, নেই কোনো অনুযোগ। এখানে সবার হৃদয়টা বড় উদার! জীবনের সর্বক্ষেত্রে সর্বকাজে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই হচ্ছে এই ইজতেমার অন্যতম ছবক-পাঠ।
প্রতিদিনই কয়েকবেলা করে বয়ান হচ্ছে বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজের পরে। সাথীরা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন গঠনের দিক-নির্দেশনা। কেউ কেউ টুকে নিচ্ছেন আলোচনার বিভিন্ন অংশ, যা জীবনকে দ্বীনের উপর চালাতে সাহায্য করবে, এবং যেই কথাগুলো জীবনের বাঁক পরিবর্তন করতে পারে!
মাশাআল্লাহ, হচ্ছেও তাই! বহু গাফেল জীবন এই তিনদিনেই জেগে উঠে। জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন করে ভাবিত হয়। ইহ-পরকালীন জীবনের সফলতার লক্ষ্যে, দ্বীনের অনুশীলনে সাল, চিল্লা আর বিভিন্ন মেয়াদী তাবলীগী সফরে বেরিয়ে পড়েন অনেকে।
ইজতেমার এই দিনগুলো অনেক জীবনকে আখেরাতের প্রস্তুতির ব্যাপারে সজাগ করে। তার সামনে খুলে দেয় চিন্তা-ফিকিরের দুয়ার। তাকে চেনায়, কীসে সুখ-শান্তি আর কীসে নিহিত সফলতা-কামিয়াবী! তাই জীবন গঠনের নূরানী পাঠশালা এই ইজতেমা, ফিরে আসুক আমাদের জীবনে বারে বারে!
-এসআর