শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ২৩ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘নামাজী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে অপরাধপ্রবণতা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে’ আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আগামীর ইসলামের জন্য কাজে লাগাতে হবে: আজহারী বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সভাপতি পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন ‘কুরআনের সাথে সম্পৃক্ততা মানুষকে আলোকিত করে’ মসজিদে হারাম ও নববীতে তারাবি পড়াবেন ১৫ ইমাম সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে দেশবাসীকে নিয়ে আন্দোলন হবে : সিইসি স্থানীয়-জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জামায়াত আমির ইসলামবিরোধী অপতৎপরতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নেজামে ইসলাম পার্টির চীন সফরে যাচ্ছেন মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন কালেমা তাইয়্যেবা হচ্ছে ঐক্যের মূল সূত্র: খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর

একটি গুনাহ আরেকটি গুনাহকে টেনে আনে: মুফতি তাকি উসমানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হুসাইন আহমাদ খান ।।

মানুষের আত্মা ও প্রকৃতি এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে, যদি সে কোন গুনাহ করার ইচ্ছা পোষণ করে- তাহলে প্রথম প্রথম তার মাঝে দ্বিধা কাজ করে। করবে কি করবে না- প্রথমেই সাহস হয় না। কিন্তু একবার যদি সে গুনাহ করে ফেলে তাহলে এক গুনাহ আরো বহু গুনাহকে টেনে আনে।

এর মানে হলো, প্রথমে যে দ্বিধা ও সংকোচের পর্দা ছিলো, এখন সেটা আর নেই। ফলে এক গুনাহের পর দ্বিতীয় গুনাহ করে বসে। এটা মনুষ্যপ্রকৃতির এক দস্তুর ও নিয়ম।

আবার কতক সময় এক গুনাহ অপর গুনাহ করতে বাধ্য করে। যেমন কেউ যদি কোন লজ্জা ও শরমের গুনাহ করে ফেলে- যা অন্যদের কাছে প্রকাশ পাওয়াটা কাম্য নয় । এখন যদি কেউ তাকে জিজ্ঞেস করে বসে, তুমি কি অমুক কাজ করেছো? তাহলে সে কী করবে? সে মিথ্যা বলবে। তো প্রথম সেই গুনাহের সাথে এখন মিথ্যার গুনাহ যুক্ত হলো। এভাবেই গুনাহের পর গুনাহ হতে থাকে।

অনুরূপ নেকি অন্য নেকি করতে উদ্বুদ্ধ করে। একবার যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি কোন নেক কাজ করার তাওফিক হয়ে যায় তাহলে আল্লাহ তাআলা তার সামনে নেকির রাস্তা খুলে দেন। এই ওছিলায় আল্লাহ তাআলা চিন্তা-চেতনা ও মন-মানসিকতা পাল্টে দেন। তখন সে নেকির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে।

কেউ যদি কুরআন ও হাদিসের দরস দেয়, কুরআন ও হাদিস থেকে বয়ান করে তাহলে এটাকে অত্যন্ত বড় কাজ মনে করা হয়। কিন্তু –আল্লাহ পানাহ- যদি এর মধ্যে শয়তানি ওয়াসওয়াসা চলে আসে তাহলে এই কর্ম জান্নাতের পরিবর্তে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। সেটা কীভাবে? এই আমলের কারণে অন্তরে হিংসা ও অহঙ্কার সৃষ্টি হওয়ার মাধ্যমে। তাহলে এই আমল আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুল হয় না।

কারণ এখানে আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্য হয় না। বরং লোক দেখানো ও প্রসিদ্ধি লাভের জন্য হয়ে থাকে। আর বড় থেকে বড় আমলও যদি লোক দেখানো ও প্রসিদ্ধি লাভের জন্য হয় তাহলে আল্লাহ তাআলার কাছে তার কোন মূল্য নেই। কিন্তু ছোট আমল যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্যে হয় তাহলে সেটা আল্লাহর দরবারে অনেক বড় আমল বলে গণ্য হয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ