মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।
একলোক আল্লামা থানবি রহ় এর কাছে এসে তিনি একটি নতুন মাদরাসা চালু করেছেন জানালেন৷ মাদরাসার নিয়ম-নীতি, সুযোগ-সুবিধা, লেখাপড়ার মান বর্ণনাসহ আরো অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বেশ সময় নিয়ে বলতে থাকলো৷ নতুন মাদরাসা চালু হওয়ায় সেখানে বড় একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেছিলো সেটিও আল্লামা থানবী রহ় এর কাছে ব্যক্ত করলেন৷
আল্লামা থানবি রহ় ধৈর্যের সাথে তার কথাগুলো শুনতেছিলেন৷ একপর্যায়ে তাকে থামিয়ে বললেন, আচ্ছা! এগুলো বলার পিছনে তোমার আসল উদ্দেশ্যটা কী বলো? তুমি জানো এভাবে বলার কারণে শয়তান ধোঁকা দেওয়ার পথ পেয়ে যায়৷ শয়তান এই সুযোগে আত্মতৃপ্তি, অহংকার, খোদপছন্দী এসব বদস্বভাবগুলোকে তোমার মধ্যে অনুপ্রবেশ করিয়ে দেয়৷ ফলে একসময় তোমার কারণেই মাদরাসার ক্ষতি হয়ে যায়৷ অথচ, প্রথমে তুমি মাদরাসাটি চালু করেছিলে জাতির উপকারের জন্যে৷
হজরতের কথা শুনে লোকটি বললো, হজরত! আমার অন্তরে তো এসব উদ্দেশ্য নেই৷
আল্লামা থানবি রহ় তাকে সতর্ক করতে গিয়ে বললেন, এই! তুমি তোমার নফসের সূক্ষ্ণ চক্রান্তের বিষয়ে কী জানো? তুমি নিজের নফসকেই চিনো না৷ জেনে রেখো!
আধ্যাতিক জগতের অনেক বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ মনীষীদেরকেও নফস অনেক সময় নেকনিয়তে ধোঁকা দিয়ে বসে৷ অনেক সময় নফসের এসব গোপন কৌশল তাঁদেরও অনুভূতির বাইরে থেকে সময়ে সুযোগে ধোঁকা দিতে থাকে৷ সুতরাং নফসের এসব চক্রান্তের বিষয়ে আমাদের সজাগ-সচেতন থাকতে হবে৷ যেনো আমাদের দ্বারা দীনের কোনো ক্ষতি হয়ে না যায়৷ সূত্র: আল-ইফাজাতুল ইয়াওমিয়্যা৷
-এটি