আবদুল্লাহ তামিম।। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির জামিয়া ইসলামিয়া বাবুনগরের শতবর্ষী ইসলামী মহাসম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশে আসছেন আল্লামা হানিফ জালান্ধরি। তিনি পাকিস্তানের কওমি মাদরাসাসমূহের সবচেয়ে বড় শিক্ষাবোর্ড বেফাকের দীর্ঘ ২৪ বছরের মহাসচিব।
আগামী ৪,৫ ও ৬ জানুয়ারি রোজ বুধ,বৃহস্পতি ও জুমাবার অনুষ্ঠিতব্য শতবার্ষিকী ও দস্তারবন্দী ইসলামী মহাসম্মেলনে অংশগহণ করতেই বাংলাদেশে আসবেন তিনি। বিষয়টি আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন, আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবনগরীর খাদেম মাওলানা আবদুল খালেক।
শতবর্ষী এ ইসলামী মহাসম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, দুবাই, লিবিয়া, লন্ডন, ভারত ও পাকিস্তানসহ দেশ-বিদেশের অনেক সুপ্রসিদ্ধ বরেণ্য ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদ।
আল্লামা হানিফ জালান্ধরি ১৯৯৮ সালের ২ মার্চ মাত্র ৩৭ বছর বয়সে বেফাকের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। গত ২৪ বছর যাবত তিনি পাকিস্তান বেফাকের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাকিস্তান বেফাকের উন্নতি-অগ্রগতির পেছনে মূল কারিগর হিসেবে তাঁকে গণ্য করা হয়। ১৯৮১ সাল থেকে জামিয়া খায়রুল মাদারিসের রেক্টর (আচার্য) হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আল্লামা হানিফ জালান্ধরি পাকিস্তানের একজন বিশিষ্ট স্কলার। মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৯৮১ সালে তিনি জামেয়া খায়ের-উল-মাদারিস মুলতানের তৃতীয় মুহতামিম (প্রিন্সিপাল) নির্বাচিত হন। ২০১৩-২০১৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কুরআনের হাফেজ তৈরি করায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘কুরআন মেমোরিজেশন’ বা ‘মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ’ থেকে তাঁকে দেওয়া হয় কুরআন ম্যাডেল।
পাকিস্তানের বেফাক বোর্ড সরকারি বোর্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ২০১০ সালে। মাওলানা হানিফ জালান্ধরির নেতৃত্বে এই স্বীকৃতি লাভ করে বোর্ডটি।
২০১৩ -২০১৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হাফেজ (কুরআন মুখস্তকারী) তৈরি করার জন্য তাকে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর কুরআন মেমোরাইজেশন (মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) থেকে পুরস্কৃত করা হয়। সূত্র: উইকিপিডিয়া
-এটি