আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চীনে প্রতিদিন কোভিড-১৯-এ ৯ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে বলে অনুমান করছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাস্থ্য তথ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটি।
সপ্তাহখানেক আগে তারা চীনে করোনাভাইরাসে দৈনিক ৫ হাজার মৃত্যু হচ্ছে বলে ধারণা দিয়েছিল। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় মৃত্যুসংখ্যা এখন আগের ধারণার দ্বিগুণের কাছে পৌঁছে গেছে বলেই তাদের ধারনা।
চলতি বছরের নভেম্বর থেকে চীনে কোভিড সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল; নিয়মিত শনাক্তকরণ পরীক্ষা, উপসর্গবিহীন রোগীর সংখ্যা প্রকাশ বন্ধসহ বেইজিং তার ‘শূন্য কোভিড’ নীতি থেকে সরে আসায় এ মাসে পরিস্থিতি এখন আরও নাজুক আকার ধারণ করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চীনে ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে এ পর্যন্ত কোভিডে এক কোটি ৮৬ লাখ লোক আক্রান্ত হয়, আর এক লাখ মানুষ মারা যায় বলে এয়ারফিনিটি তাদের বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে ধারণা দিয়েছে।
জানুয়ারির ১৩ তারিখে সংক্রমণ তার প্রথম চূড়ায় পৌঁছাবে, সেসময় চীনে প্রতিদিন ৩৭ লাখ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হবে বলেও অনুমান এ ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের। তাদের এই মূল্যায়নের সঙ্গে চীনা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের ব্যাপক গড়মিল দেখা যাচ্ছে।
বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসার দায় এড়াতে কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে অসংখ্য পিসিআর শনাক্তকরণ পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার পর চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দেশটিতে এখন প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের দেহে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতির কথা জানাচ্ছে।
এয়ারফিনিটির অনুমান, চীনে কোভিডে মৃত্যু শীর্ষে পৌঁছাবে ২৩ জানুয়ারি, সেসময় প্রতিদিন ২৫ হাজার মৃত্যু দেখবে দেশটি, আর ডিসেম্বর থেকে সে পর্যন্ত চীনে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুও পৌঁছাবে ৫ লাখ ৮৪ হাজারে।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই চীন তাদের কোভিডে মৃত্যুর সংজ্ঞায় বড় ধরনের বদল আনে। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি করোনাভাইরাসে মাত্র ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে।
তাদের নতুন সংজ্ঞায়, কেবল তারাই কোভিডে মৃত বলে গণ্য হবেন, যাদের মৃত্যু হবে করোনাভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া বা শ্বাসকষ্টে। কোভিডে আক্রান্ত কেউ যদি অন্য কোনো অসুখে মারা যান, তাহলে তার নাম কোভিডে মৃত্যু তালিকায় যুক্ত হবে না।
মহামারী শুরুর পর বুধবার পর্যন্ত সরকারি হিসেবে চীনে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৪৬। আর এয়ারফিনিটির অনুমান, আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে চীনজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যু পৌঁছাবে ১৭ লাখে।
-এসআর