আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চীন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালালো ভারত। বৃহস্পতিবার চালানো এই পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী। নিজেদের সামরিক সক্ষমতার জানান দিতে নয়াদিল্লি এই পরীক্ষা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর আল–জাজিরার।
বৃহস্পতিবার ওড়িশায় অবস্থিত আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে ‘অগ্নি-৫’ নামের আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয় বলে জানান সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।
এক টুইট বার্তায় প্রহ্লাদ জোশী বলেন অগ্নি–৫ ক্ষেপণাস্ত্র ৫ হাজার ৪০০ কিলোমিটার বা এর চেয়েও দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় নতুন সক্ষমতা তৈরি ও জাতীয় নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করবে।’
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আগে ভারত সরকার একটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে বঙ্গোপসাগরকে ‘নোফ্লাই জোন’ ঘোষণা কওে বলে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। একই সঙ্গে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র চীনে যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম।
এর আগে গত ৯ই ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এ ঘটনায় প্রতিবেশী দেশ দু'টির মধ্যে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার পরপরই দু'পক্ষের সেনারা সীমান্ত এলাকা থেকে সরে আসেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহত হন। কয়েক দশকের মধ্যে চীন ও ভারতের সেনাদের এটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা। এরপর থেকেই দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়।
-এটি