আবদুল্লাহ তামিম।।
পুরো বাসের একজন যাত্রীও যদি নামাজ পড়তে চায় আমরা গাড়ি থামাতে বাধ্য। এটি তার নাগরিক অধিকার বলে জানিয়েছেন গ্রীন লাইন পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. আবদুস সাত্তার।
আজ বুধবার আওয়ার ইসলামকে দেয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
এর আগে নামাজের জন্য বিরতির কারণে গ্রীন লাইনে কোথাও যায় না বলে একটি মন্তব্য ঝড় তুলেছে নেটপাড়ায়। তার মন্তব্যের উত্তরে গ্রীন লাইন জানায় আপনার নামাজ পড়তে ভালো না লাগলে গ্রীন লাইন ব্যবহারও করতে হবে না আপনার। গ্রীন লাইনের এ উত্তরে প্রশংসায় ভাসছে পরিবাহণটি। এদিকে গ্রীন লাইনের ছবি পোস্ট করে শত শত মুসলিম ভাই ফেসবুকে সাধুবাদ জানিয়েছে তাদের।
আওয়ার ইসলামকে দেয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে গ্রীন লাইন পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. আবদুস সাত্তার আরো বলেন, আগে একটা সময় ছিলো মানুষ নামাজের কথা তেমন বলতো না। কিন্তু এখন টিকেট কাটার আগেই সবাই জিজ্ঞেস করে নেয় যে নামাজের জন্য দাঁড়াবে তো? আমরা তো মনে করি যে এটা তাদের নাগরিক অধিকার।
তিনি আরো বলেন, বাসের ড্রাইভার ও সুপারভাইজারদের আমরা নির্দেশ দিয়ে রেখেছি, নামাজের টাইম হলে নিরাপদ স্থানে গাড়ী রেখে যাত্রীদের নামাজের সময় দিতে হবে। নামাজের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া, বা ধর্মীয় যে বিষয়টা এটা তো পারিবারিকভাবেই চলে আসছে। গ্রীন লাইনের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলাউদ্দীন সাহেব। তিনি সবসময় এসব বিষয়ে কাজ করে গেছেন। পেসেঞ্জার যেনো নামাজ আদায় করতে পারে তিনি খেয়াল রাখতেন। আর আমরা গ্রীন লাইনের সব কাউন্টারে নামাজের ব্যবস্থা রেখেছি। আমরা মনে করি যে এটা প্রতিটি মানুষের অধিকার আমাদের কর্তব্য। তাই আমরা সবসময় চেষ্টা করি মানুষ যখন নামাজ আদায় করতে চায়, তখন যেনো কোনো সমস্যা ছাড়া নামাজ আদায় করতে পারে। আমি মনে করি যে এটা সর্বপ্রথম চালু করেছে সৌদিয়া পরিবহন, এম আলম পরিবহন। আস্তে আস্তে সব পরিবহন এটা করছে।
আমরা এটা কয়েকদিন যাবত না। বরং এটা আমরা বিশ বছর যাবত করে আসছি। আমি মনে করি যে নামাজের জন্য ভাইরাল হওয়ার কিছু নাই। বরং আমাদের আরো কর্তব্য আদায়ে জোড় দেয়া দরকার। এটা আমাদের কর্তব্য। আর যে এমন মন্তব্য করছে সে না বুঝেই করেছে।
আর আমি মনে করি কেউ যদি নামাজে সময় দেয় তার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং তার যে লাভ হবে সে এটা কল্পনাও করতে পারবে না।
-এটি