আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শীতের সময় উষ্ণতা পেতে গরম পোশাকের পাশাপাশি চাই গরম খাবার। যে খাবার শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে। শীতকালে শরীরকে গরম রাখার জন্য কয়েকটি খাবার অত্যন্ত উপযোগী।
জেনে নিন শরীর গরম রাখতে যেসব খাবার খাবেন।
মাংস; খাসি ও গরুর মাংস শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে তা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।
শুকনো ফল: খেজুর, অ্যাপ্রিকট এবং অন্যান্য শুকনো ফল আপনার শরীরের যন্ত্রসমূহকে গরম ও স্বাভাবিক রাখে।
আদা চা: শীতকালে নিজেকে গরম রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল এক কাপ আদা চা। এই আদা চা খাওয়ার পরেই আপনি পার্থক্যটা বুঝবেন। আগের চেয়ে গরম লাগতে শুরু করবে।
পেঁয়াজ: আপনাকে ঘামিয়ে দিতে পেঁয়াজের কিন্তু একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। পেঁয়াজ শরীরকে গরম রাখার পাশাপাশি শীতজনিত অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
আপেল: আপেলে রয়েছে প্রায় ৪.৪ গ্রাম ফাইবার। আপেলের স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার দুটোই আমাদের দেহের উষ্ণতা ধরে রাখতে সক্ষম। এ ছাড়াও আপেলে রয়েছে ৮৬% পানি যার ফলে আমরা শীতে কম পানি পান করলেও আমাদের দেহকে সঠিকভাবে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করবে।
মিষ্টি আলু: শীতকালের এই সবজিটিরও রয়েছে শীত দূর করার ক্ষমতা। ফাইবার, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুকে বলা হয় সুপারফুড, যার রয়েছে দেহকে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্ত রাখার পাশাপাশি শীত তাড়ানোর বিশেষ ক্ষমতা।
মধু: সর্দি, কাশি, ফ্লু ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়তে অনন্য এক উপাদান মধু। মিষ্টিজাতীয় খাবার হলেও মধুতে নেই বাড়তি ক্যালরির ঝামেলা। এ ছাড়া শরীর গরম রাখতেও বেশ উপকারী।
আদা চা: শীতকালে নিজেকে গরম রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল এক কাপ আদা চা। এই আদা চা খাওয়ার পরেই আপনি পার্থক্যটা বুঝবেন। আগের চেয়ে গরম লাগতে শুরু করবে।
মরিচ: মরিচে রয়েছে ভিটামিন সি, যা শরীর থেকে ঠাণ্ডার অনুভূতি দূর করে। সর্দি এবং কফ কমায়। মরিচের ঝাল একটু বেশি দিয়ে খাবার রান্না করে খেয়ে দেখুন, শীত পালিয়ে যাবে।
বাদাম: বিভিন্ন জাতের বাদাম যেমন, চিনাবাদাম, আখরোট, কাঠবাদাম ইত্যাদি ভালো কোলেস্টেরল, ভিটামিন, ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস। গরমজাতীয় খাবার বলে শীতে স্যাকস হিসেবে বাদাম খেতে পারেন।
দারুচিনি: শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে এই মসলা বেশ উপকারী। আলাদা স্বাদ আনতে স্যুপ, রান্না করা খাবার, সালাদের সঙ্গে দারুচিনি মিশিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া চায়ের সঙ্গেও মেশাতে পারেন।
রসুন: সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী রসুন। পাশাপাশি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন তিন, চার কোয়া রসুন সরাসরি বা রান্নায় ব্যবহার করে খেতে পারেন।
ঘি এবং আঁশ জাতীয় খাবার: শীতকালে আঁশ জাতীয় খাবার বেশি করে খেলে হজম প্রক্রিয়া বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে শরীরের ভেতরের তাপমাত্র বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাইরের ঠাণ্ডা সেভাবে শরীরকে কাবু করতে পারে না।
এই সময় প্রতিদিন এক চামচ করে ঘি খাওয়ারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কারণ এই খাবারটি নিয়মিত খেলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে, ওজন বাড়ার আশঙ্কা কমে এবং শরীর গরম থাকে।
কিশমিশ: শীতের ব্রেকফাস্ট যেন কোনও দিনই বাদাম এবং কিশমিশ ছাড়া শেষ না হয়। কারণ এই ধরনের খাবারগুলি সারা দিন শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, বাদাম এবং কিশমিশ আরও নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। তাই শীতকালে ভুলেও বাদাম আর কিশমিশের সঙ্গ ছাড়া কখনই চলবে না কিন্তু!
তুলসি: আয়ুর্বেদিক গ্রন্থ থেকে জানতে পারা যায়, শীতকালে শরীরকে সুস্থ এবং কর্মক্ষম রাখতে তুলসি এবং আদার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানের শরীরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিভাইরাল প্রপার্টিজ, যা শীতের কামড় থেকে বাঁচাতে সব দিক থেকে সাহায্য করে থাকে।
সবুজ শাক-সবজি: শীতকাল মানেই সবজি বাজারে রঙের পরশ! আর সেই রং যাতে আপনার খাবারের প্লেটেও লাগে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আর সেই কারণেই তো প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে গাজর, পালং শাক, বিনস, টমেটো সহ আরও নানা সব সবজিকে।
-এসআর