আবদুল্লাহ তামিম।। গত ২ দিনে আমরা হারিয়েছি দেশের বরেণ্য তিন আলেমকে। যতদিন উলামায়ে কেরাম পৃথিবীতে থাকবেন, ততদিন পৃথিবী টিকে থাকবে। যখন আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবী ধ্বংস করে কিয়ামত সংঘটিত করার ইচ্ছা করবেন, তখন প্রথমে দুনিয়া থেকে ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে। হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. ও মুজাহিদ রহ. এই আয়াতের তাফসীরে বলেন, উলামাদের মৃত্যুর দ্বারা দুনিয়া সংকুচিত হয়ে আসবে। আলেমের মৃত্যু জগতের মৃত্যু।
গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দেশ হারিয়েছে একজন মুফাসসিরে কুরআনকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইউনুসিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস। একজন খ্যতিমান ওয়ায়েজ ও আরবি ভাষাবিদ মাওলানা নোমান হাবিবী ইন্তেকাল কারেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছে ৫২ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে দুই মেয়ে রেখে যান।
জানা যায়, তিনি অনেক ধরে লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। শেষে পিত্তথলিতে পাথর জনিত রোগের চিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি হোন। অপারেশনের পর ইনফেকশন থেকে জটিল আকার ধারণ করে। পরে শেষ তিনদিন আইসিওতে ছিলেন। অবশেষে গত রাত ১.৪৫ মিনিটে আল্লাহর ডাকে সাড়া দেন। তিনি রাজধানীর ঢালকানগর মাদরাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে খেদমত করেছেন।
১২ নভেম্বর শনিবার দেশ হারিয়েছে আরেকজন বরেণ্য আলেমকে। জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদরাসার (ফরিদাবাদ মাদরাসা) শাইখুল হাদিস, বেফাকের সহকারী মহাসচিব মুফতি নুরুল আমীন ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৬৫ বছর। গত বৃহস্পতিবার ফরিদাবাদ মাদরাসায় ফজরের নামাজের সময় মুফতি নুরুল আমীন হার্টঅ্যাটাক করেন। এরপর তাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
১২ নভেম্বর শনিবার রাত দশটার দিকে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেছেন, যাত্রাবাড়ি মাদরাসার দীর্ঘদিনের প্রধান মুফতি, প্রবীণ আলেমেদ্বীন, মুফতি সাদেকুল ইসলাম। মুফতি সাদেকুল ইসলামের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বাদ যোহর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাদুঘরে।
তিনি ইসলামী ফিকাহ ওপর গভীর জ্ঞান অর্জনের জন্য তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধান মুফতি শফি রহ. এর কাছে যান। দারুল উলুম করাচি ভর্তি হন এবং ফিকার পর দুই বছরের কোর্স শেষ করেন। এ বিষয়ে পিএইচডি করেন।
মুফতী শফি রহ. এর নজরকারে তার পড়ালেখা। তাই সেখানেই খেদমতের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু দেশের ভালোবাসা তাকে বেশিদিন দূরে রাখতে পারেনি। তিনি দেশের মাটিতে খেদমত করবেন শুনে যাত্রাবাড়ী মাদরাসা থেকে স্বাগত জানিয়ে ফতোয়া বিভাগের খেদমতের জন্য আনা হয়েছে। তিনি এসে যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় ইফতা বিভাগ চালু কারেন।
তিনি ইসলামী ফিকাহ ওপর গভীর জ্ঞান অর্জনের জন্য তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধান মুফতি শফি রহ. এর কাছে যান। দারুল উলুম করাচি ভর্তি হন এবং ফিকার পর দুই বছরের কোর্স শেষ করেন। এ বিষয়ে পিএইচডি করেন।
মুফতী শফি রহ. এর নজরকারে তার পড়ালেখা। তাই সেখানেই খেদমতের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু দেশের ভালোবাসা তাকে বেশিদিন দূরে রাখতে পারেনি। তিনি দেশের মাটিতে খেদমত করবেন শুনে যাত্রাবাড়ী মাদরাসা থেকে স্বাগত জানিয়ে ফতোয়া বিভাগের খেদমতের জন্য আনা হয়েছে। তিনি এসে যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় ইফতা বিভাগ চালু কারেন।
-এটি