বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৫ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইবতেহাল আবু সাঈদ এর চিৎকার: গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধযন্ত্রে মাইক্রোসফট কিভাবে সহায়তা করছে? ভর্তি শুরু জামিয়া রাহমানিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায়  ঢাকায় আগত নতুন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ইরান-আমেরিকা সম্পর্ক: ট্রাম্পের সরাসরি আলোচনা প্রস্তাব, যুদ্ধ না শান্তিপূর্ণ সমাধান? ভর্তি শুরু জামিয়া রাহমানিয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসায়  দেশব্যাপী সরকারি ফার্মেসি চালু, অল্পদামে মিলবে ২৫০ রকম ঔষধ বাংলাদেশে আরও এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এনডিবি হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা ও টিকাদান কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ বারিধারা মাদরাসায় হেফাজতের মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সভা

হাদিস অস্বীকারকারীদের বিষয়ে যা বললেন শায়েখ আহমাদুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: যে মাধ্যমে কুরআন এসেছে, সেই এক মাধ্যমেই হাদীস এসেছে। সুতরাং হাদীস অস্বীকার করা ইসলাম অস্বীকার করার নামান্তর।

ইসলাম মানে শুধু কুরআন হলে আল্লাহ বলতেন না— ‘তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসূলের আনুগত্য করো।’ ﴾সূরা মায়িদাহ, আয়াত ৯২﴿

‘যে রাসূলের আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো।’ ﴾সূরা নিসা, আয়াত ৮০﴿ মহান আল্লাহ শুধু কিতাব পাঠাননি, তিনি কিতাবের সাথে ব্যাখ্যাতাও (রাসূল সা.) পাঠিয়েছেন। সুতরাং একটি মেনে অপরটি অস্বীকার করা মানে ইসলামকে আংশিক মানা আর আংশিক অস্বীকার করা। বরং হাদীস অস্বীকার করলে কুরআন অস্বীকারের রাস্তাই খুলে যায়।

হাদীস অস্বীকারকারীরা কুরআনের সাথে যেভাবে হাদীসের সাংঘর্ষিকতা প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা করেন, ঠিক একইভাবে কুরআনের এক আয়াতের সাথে অন্য আয়াতের সাংঘর্ষিকতা দেখানো যায়। একজন কোনো বই থেকে শিখেছে, দুই যোগ দুই চার হয়। হঠাৎ সে একই বইয়ে তিন যোগ এক চার হওয়ার কথা জেনে আশ্চর্য হওয়া মানুষের মতো অনেকটা হাদীস অস্বীকারকারীদের দশা।

হাদীস অস্বীকারকারীদের একটা ধূর্ততা হলো, তারা সরাসরি হাদীস অস্বীকারের কথা বলে না। কুরআনের সাথে হুবহু মিলে এমন হাদীসগুলো মানার কথা বলেন তারা। মূলত শুধু এই শ্রেণীর হাদীস গ্রহণ করা আর না করার মধ্যে পার্থক্য থাকে না।

শুধু কুরআন থেকে সালাতের কোনো বিবরণ তো পরের কথা সালাতের আগের কাজ— আযান ও পবিত্রতার পদ্ধতিও প্রমাণ করা যাবে না। প্রয়োজন হবে হাদীসের। যাকাত ও অন্য সব বিষয়েও একই কথা প্রযোজ্য। মূলত, কুরআনকে যদি থিওরি বলা হয় তাহলে হাদীসকে তার প্র্যাক্টিক্যাল বলা যায়।

সারা বিশ্বের সব যুগের সব আলিম ও ইমাম হাদীস অস্বীকারকারীদের ভ্রান্তি ও ভ্রষ্টতার ব্যাপারে একমত। হাদীস সংকলন, রিজালশাস্ত্র ও জরাহ-তা’দীল প্রভৃতি সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা রাখা কোনো মানুষ হাদীসের প্রামাণ্যতা অস্বীকার করতে পারে না।

ইসলামের প্রথম দুই শতকে কেউ হাদীসকে শরীয়তের দলিল হিসেবে মানতে অস্বীকৃতি জানায়নি। হিজরি দ্বিতীয় শতকের শেষের দিকে এসে সর্বপ্রথম মুতাযিলা সম্প্রদায় হাদিসকে অস্বীকার করার দুঃসাহস দেখায়। পরবর্তী যুগের অস্বীকারকারীরা এক্ষেত্রে মূলত মুতাযিলাদেরকেই অনুসরণ করছে।

মহান আল্লাহ আমাদেরকে হাদীস অস্বীকারকারী নামধারী আহলে কুরআনের ফিতনা থেকে হেফাজত করুন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ