আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পুষ্টিগুণে ভরপুর কলা। বড়দের পাশাপাশি এই ফল শিশুদের জন্যও দারুণ উপকারী। শিশুর খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন এই ফলটি রাখা প্রয়োজন।
কারণ কলা হচ্ছে শরীরের শক্তির অন্যতম উৎস। এতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ‘বি’-৬, ভিটামিন ‘সি’, ফাইবার, পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ‘এ’, বায়োটিন।
এছাড়া কলায় ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। কলায় গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ ও সুক্রোজ ইত্যাদি প্রাকৃতিক সুগারের উপস্থিতি রয়েছে। যা শরীরের শক্তি বাড়াতে জরুরি।
সরাসরি শক্তির জোগান দেয়
শিশুরা সারাদিন ছোটাছুটি, দুরন্তপনা করে। তাই তাদের প্রচুর শক্তি দরকার। সারাদিনের ক্লান্তির পর একটা কলা শিশুকে দ্রুত চাঙ্গা করে দিতে পারে। তাই শিশুদের সারাদিন সতেজ রাখতে রোজ একটা করে পাকা কলা খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে শিশুকে খেলাধুলো করার পর একটা কলা খেতে দেওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর। এতে করে শিশু ক্লান্তিবোধ দূর হবে।
হজমশক্তি ঠিক রাখে
কলার মধ্যে যে ফাইবার রয়েছে, তা হজমশক্তি ঠিক রাখতে কাজ করে। এতে ‘পেকটিন’ নামক ফাইবার রয়েছে। পানিতে দ্রবীভূত এই ফাইবার শরীরে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেটকে সুগারে পরিণত করে দিতে পারে। রোজ একটা করে কলা শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও প্রতিরোধ হয়। এছাড়া কলা খেলে পেট ভরা থাকে অনেকক্ষণ।
হাড় ও চোখের জন্য ভালো
কলাতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। এই পটাশিয়াম, সোডিয়ামকে লঘু করে দেয়। শিশুর ডায়েটে সোডিয়াম থাকতেই পারে। কলা খেলে তা নিউট্রালাইজ হয়ে যায়। ফলে শিশুর হাড় শক্ত হয়। এছাড়া শিশুদের প্রস্রাবের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যায়। কলা খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়, হাড় শক্ত হয়। এছাড়া রোজ কলা খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। কলাতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য ভালো।
রক্তাল্পতা রোধ করে
যাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা ঠিকমতো উৎপাদন হয় না, তারা রক্তস্বল্পতায় ভোগে বেশি। শিশুর ডায়েটে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ‘বি’-১২ ও কপার যথেষ্ট পরিমাণে থাকা দরকার। যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। কলা এই সব পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। তাই কলা হিমোগ্লোবিন তৈরির পাশাপাশি অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর।
মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি পায়
শিশুর মস্তিষ্কের অন্যতম শক্তি কলায় উপস্থিত। কলাতে থাকা পটাসিয়াম মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকে।
-এটি