আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঋতু পরিবর্তনের সময়ে অনেকের গলা ব্যথা দেখা দেয়। গলা ব্যথা সাধারণত সপ্তাহখানেকের মধ্যে নিজ থেকেই ভালো হয়ে যায়। তবে এই ব্যথা অনেকটাই অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে কেউ কেউ কথা বলার সময় ও খাবার গিলতে সমস্যায় পড়েন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বরফের টুকরা গলা ব্যথা সারাতে কার্যকরী হতে পারে কারণ এটি আক্রান্ত টিস্যুতে শীতল প্রভাব ফেলে। এটি গলার স্নায়ু প্রান্তের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়, ফলে ব্যথা অনেক কমে যায়। এমনকী টনসিলের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও চিকিৎসকেরা আইসক্রিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। ঠান্ডা আইসক্রিম টনসিলের সংস্পর্শে এসে এর ফোলাভাব কমায়। সেইসঙ্গে ব্যথা ও অস্বস্তিও দূর করে।
জেনে নিন গলা ব্যথা দূর করার উপায়:
দুধ ও হলুদের পানীয়: হলুদে থাকে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা অনেক গুরুতর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। গলা ব্যথা দূর করার জন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হলুদ মেশানো দুধ খেতে পারেন। এই পানীয়কে গোল্ডেন মিল্কও বলা হয়। রাতে দুধ খাওয়ার কারণে যদি আপনার পেট ফাঁপার সমস্যা হয় তবে এটি অল্প করে খেতে পারেন বা দিনের যেকোনো সময়ও খেতে পারেন। এক কাপ দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে খেলেই উপকার পাবেন।
লবণ-পানির গার্গল: হালকা গরম পানির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে তা গলা ব্যথা প্রশমিত করতে কাজ করে। এটি শিশুর ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী। গার্গল করার জন্য একটি গ্লাসে অর্ধেকটা হালকা গরম পানি নিন এবং বাকি অর্ধেকটা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি মেশান। এরপর এর সঙ্গে মেশান আধা চা চামচ লবণ। এই মিশ্রণ দিয়ে গার্গল করুন এবং ফেলে দিন। কয়েকবার এভাবে করুন।
মধু ও আদার রস: গবেষণায় দেখা গেছে আদার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে তা আমাদের শরীরে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল প্রভাব ফেলে। প্রথমে আদা থেতো করে একটি চামচে এর রসটুকু বের করে নিন। এরপর তার সঙ্গে মেশান সামান্য মধু। এবার মিশ্রণটি খেয়ে ফেলুন।
আদা চা: গরম পানিতে আদা ফুটিয়ে অল্প অল্প করে পান করতে পারেন। প্রতিদিন যে চা পান করেন, তার সঙ্গেও মেশাতে পারেন আদা। আদা চা পান করলে তা আপনার গলা ব্যথা দ্রুত দূর করতে কাজ করবে।
বিশ্রাম নিন: সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি করে। ঘুম কম হলে শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে, এই রক্তকণিকা গলা ব্যথার কারণে সৃষ্ট প্রদাহ দূর করতে দরকারি।
এছাড়া ঘরোয়া এই উপায়গুলো মেনে চলার পাশাপাশি প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
-এসআর