আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ২০২২ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১২৫ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নারী এবং মেয়ে শিশুকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
২৬ অক্টোবর, বুধবার প্যালেস্টিনিয়ানস প্রিজনার্স ক্লাব (পিপিসি) নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এ সংগঠনটি ইসরায়েলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের অধিকারের জন্য প্রচারণা চালিয়ে থাকে।
ফিলিস্তিনি নারী দিবসে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পিপিসি জানায়, বর্তমানে ৩২ জন ফিলিস্তিনি নারী ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী রয়েছে। বন্দীদের মধ্যে নাফথ হাম্মাদ নামে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরীও রয়েছে। ২০২১ সালে জেরুজালেমে স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার হয়েছিল সে। এছাড়া বন্দীদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক হলেন মেসুন মুসা, যিনি ২০১৫ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি ১৫ বছরের সাজা ভোগ করছেন।
এদিকে দুই ফিলিস্তিনি নারীকে প্রশাসনিক আদেশের অধীনে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের জন্য এবং কোনো অভিযোগ ছাড়াই বন্দীদের আটকে রাখতে পারে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
পিপিসি জানায়, নারী বন্দীদের মধ্যে ৬ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইশরা জাবিস নামে একজন নারী আছেন। ২০১৫ সালের অক্টোবরে জেরুজালেমে বাড়ি যাওয়ার সময় তার গাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ার পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যাডামিরের মতে, জাবিসের গাড়ির একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছিল, যার ফলে তার গাড়িতে আগুন লেগে যায়। তিনি গাড়ি থেকে ছুটে এসে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সশস্ত্র ইসরায়েলি সৈন্যরা আক্রমণের চেষ্টা করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে। আগুনে মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
পিপিসি বলেছে, ফিলিস্তিনি নারী বন্দীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। আটক নারীদের পরিবারকেও গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সমনও জারি করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এগুলোকে সম্মিলিত শাস্তির অংশ বলে বর্ণনা করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর দখলের পর থেকে ইসরায়েল এপর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
সূত্র: দ্য নিউ আরব
-এটি