আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মায়ের দুধ শিশুরা সহজেই হজম করতে পারে। যারা স্তন্যপান করে তাদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই কম দেখা যায়। এদের ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। সাধারণত এক থেকে দুই বছরের মধ্যে শিশুরা স্বাভাবিক খাবারে অভ্যস্ত হতে শুরু করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তখন থেকেই শুরু হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। আপনার শিশুর মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের কোনও লক্ষণ দেখতে পেলে সাথে সাথেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ: মলত্যাগ করার সময় প্রচন্ড কষ্ট হওয়া, ব্যথা পাওয়া, প্রচণ্ড শক্ত মল মলের ছোট ছোট বল, মলত্যাগ করতে বেশি সময় লাগা, মলের সাথে রক্ত, পেট ফুলে শক্ত হয়ে যাওয়া, মাঝে মধ্যে পেট ব্যথা হওয়া, কিছুদিনের জন্য শিশুর মলত্যাগ বন্ধ হয়ে যাওয়া, মলে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ।
প্রথমে ঘরোয়া উপায় প্রয়োগ করতে পারেন
শরীরচর্চা: শিশুকে চিত করিয়ে শুইয়ে আপনি আপনার শিশুর পা দু'টি সাইকেল চালানোর মতো আলতো করে চালনা করতে পারেন। এটি করলে তাদের অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত হতে পারে।
খাবারে পরিবর্তন: খাবারে কিছু পরিবর্তন আপনার শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে সহায়তা করতে পারে। তবে এই পরিবর্তনগুলি অবশ্যই শিশুর বয়স এবং ডায়েটের উপর নির্ভর করে হবে। যদি শিশুকে কেবলমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো হয়, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকা পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন।
আপনার খাওয়া কোনও খাবার থেকে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে কিনা তা দেখুন। আপনার ডায়েটে আরও ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। যদি আপনার বাচ্চা সলিড খাবার গ্রহণ করা শুরু করে থাকে। তবে আপনি তাকে ফাইবারযুক্ত খাবার দিতে পারেন। আপনি তাদের স্কিনলেস আপেল, ব্রকোলি, গোটা শস্য, নাশপাতি দিতে পারেন।
হাইড্রেট: শিশুদের দুধ ছাড়া অন্য কোনও তরলের প্রয়োজন হয় না। তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রেশন সরবরাহ করে। তবে যদি আপনার বাচ্চা ছয় মাসেরও বেশি বয়সী হয় এবং তার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তাকে ফলের রস দিতে পারেন।
ম্যাসাজ: শিশুর পেটে ম্যাসাজ করা, তার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। ঘড়ির কাঁটার মতো পেটের উপর বৃত্তাকার গতিতে আঙুল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। নাভির চারপাশে বৃত্তাকার গতিতে আঙুলগুলি ঘোরান। শিশুর পা ধরে আলতোভাবে পেটের দিকে ঠেলুন।
এগুলো করেও কোন কাজ না হলে সাথে সাথেই ডাক্তারের কাছে সাজেশন নেন।
-এসআর