মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


জাকাতের অর্থ আত্মসাৎ: মাওলানা সাঈদীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন বাদী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) জাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এদিন মামলার বাদী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী তার জবানবন্দি দেন। তার সাক্ষ্যগ্রহণ অসমাপ্ত অবস্থায় মামলার বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা এ আদেশ দেন।

এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। আদালতে আজ দুদকের পক্ষে ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী ও (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।

অন্যদিকে সাঈদীর পক্ষে ছিলেন আব্দুস সোবহান তরফদার, মো. মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, মতিউর রহমান আকন্দ ও রোকন রজা। এছাড়া সাঈদীর বড় ছেলে শামীম সাঈদী ও সেজ ছেলে মাসুদ সাঈদীও উপস্থিত ছিলেন।

জাকাতের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক।

আসামিদের মধ্যে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কারাগারে রয়েছেন। আর আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুল হক পলাতক। অন্য তিন আসামি জামিনে।

ইফার জাকাত তহবিলের এক কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। ২০১০ সালের ২৪ মে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি করেন ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী।

তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত বছর ১১ জানুয়ারি সাঈদীসহ ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

এদিকে, দুই কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকার আয় গোপন ও তার ওপর প্রযোজ্য ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগে ২০১১ সালের ১৯ আগস্ট সাঈদীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পরের বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সাঈদীর বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ এ নেতাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ।

এর আগে ২০১০ সালের ২৯ জুন সাঈদী গ্রেফতার হন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ