রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

যেভাবে শিশুদের ত্বকের যত্ন নিবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নবজাতকদের ত্বক বড়দের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়। একটুও অসাবধানতা ত্বকের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। তাই খুব সাবধানে শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত। শিশুর যত্নের ক্ষেত্রে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। শিশুদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজনীয়।

জেনে নিন যেভাবে শিশুদের ত্বকের যত্ন নিবেন:

১) শিশুকে পরিষ্কার রাখা: জন্মের পর নবজাতকের ত্বক সাদা মোমের মতো উপাদান দিয়ে ঢাকা থাকে, যা ভার্নিক্স নামে পরিচিত। এই ভার্নিক্স জন্মের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খোসা ওঠার মতো ধীরে ধীরে উঠে যায়। ভার্নিক্স ওঠানোর ক্ষেত্রে কোনও ক্রিম প্রয়োজন হয় না। এটি প্রাকৃতিকভাবেই উঠে আসে। জন্মের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ শিশুকে পরিষ্কার রাখার জন্য আলতো করে স্পঞ্জ করাতে পারেন, বিশেষ করে শিশুর মুখ এবং ডায়পার পরানোর অংশে বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

২) শিশুকে গোসল করানো: নবজাতকদের অতিরিক্ত গোসল করালে, তাদের ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হতে পারে। যার ফলে ত্বক শুষ্ক-রুক্ষ হয়ে উঠতে পারে। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৩-৪ বার স্নান করানোই যথেষ্ট হতে পারে। গোসলে মাইল্ড সাবান এবং ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করা যেতে পারে। শিশুকে গোসলের পর, শুকনো সুতির নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো হাতে তাকে মুছে দিন। তাছাড়া শিশুর যাতে কোনওভাবেই ঠান্ডা না লেগে যায়।

৩) পাউডার লাগানো: স্নান করানোর পর পরই, শিশুদের পাউডার লাগানোর তেমন কোনও প্রয়োজন হয় না। তবে একান্তই যদি পাউডার লাগাতে চান, তবে শিশুদের ত্বকের জন্য তৈরি বেবি ট্যালকম পাউডার লাগাতে পারেন। পারফিউমড পাউডারের ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন, এতে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল এবং সুগন্ধি যোগ করা থাকে। এগুলি শিশুর ত্বকের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে।

৪) ময়শ্চারাইজিং করা: শিশু ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে ময়শ্চারাইজিং অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিশুর ত্বকে এমনিতেই শুষ্ক হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করলে ত্বক আর্দ্র থাকে এবং ত্বক নরম ও হাইড্রেটও থাকবে। বেবি লোশন বা বেবি ক্রিম প্রয়োগ করা যেতে পারে।

৫) ডায়পার জনিত সমস্যা থেকে সাবধান: শিশু যদি দীর্ঘক্ষণ নোংরা ডায়পার পরে থাকে অথবা ডায়পার যদি খুব টাইট হয়, তাহলে ডায়পার জনিত কিছু সমস্যা, যেমন - অ্যালার্জি, ব়্যাশ, ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। তাই সময়মতো বারবার শিশুদের ডায়পার বদল করা অত্যন্ত জরুরি। শোষণকারী এবং নরম ডায়পার আপনার শিশুর জন্য বেছে নিন। তাছাড়া শিশুকে সবসময় ডায়পার না পরানোই ভাল।

৬) ম্যাসাজ করুন: শিশুর ত্বক, পেশী এবং হাড়ের যত্নের ক্ষেত্রে, ম্যাসাজ অত্যন্ত জরুরী। প্রাকৃতিক তেল দিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করলে, শিশুর ত্বক পুষ্ট হয় এবং ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকে। শিশু ত্বকের ম্যাসাজের জন্য নারকেল তেল অথবা বেবি অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মার্কেটের রাসায়নিক যুক্ত তেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

৭) সুতির কাপড় ব্যবহার করুন: শিশুদের ত্বক এমনিতেই অত্যন্ত সংবেদনশীল। ঘামের কারণে ঘামাচি বা ব়্যাশ হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই সিন্থেটিক কাপড় ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন, সিন্থেটিক কাপড় অ্যলার্জির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে, সুতির ঢিলেঢালা নরম কাপড় বেছে নিন।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ