আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কর্ণাটক হাইকোর্ট অনুমতি দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বুধবার (৩১ আগস্ট) হুবাল্লি ঈদগাহ মাঠে গণেশ চতুর্থী উদযাপিত হয়েছে।
বৈদিক স্তবগানের মধ্যে শ্রীরাম সেনা প্রধান প্রমোদ মুথালিক তার সমর্থকদের সঙ্গে ঈদগাহ মাঠে গণেশের মূর্তি স্থাপন করেন এবং এই উপলক্ষে প্রার্থনা করেন।
মুথালিক বলেন, আমরা আইনি কাঠামোর মধ্যে প্রার্থনা করেছি। কিছু দুষ্কৃতি আমাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু আমরা আমাদের পূজা করেছি, যা শুধু হুব্বালির জনগণের জন্যই নয় বরং উত্তর কর্ণাটকের জন্যও আনন্দের বিষয়।
হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছেন মুথালিক। তার মতে, জেলা প্রশাসন ওই স্থানে তিনদিন পুজো করার অনুমতি দিয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঈদগাহ মাঠে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতের শুনানিতে হাইকোর্ট শহরের ঈদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থী উত্সব উদযাপনের অনুমতি দিয়ে ধারওয়াদ পৌর কমিশনারের একটি আদেশ বহাল রাখেন।
বিচারপতি অশোক এস কিনাগী বলেছিলেন যে, সম্পত্তিটি ধারওয়াদ পৌরসভার এবং আঞ্জুমান-ই-ইসলাম প্রতি বছর ১ রুপি ফি দিয়ে ৯৯৯ বছরের জন্য কেবল ইজারা নিয়েছিল।
আঞ্জুমান-ই-ইসলাম দাবি করেছে যে, এই সম্পত্তিটি উপাসনার স্থান আইন, ১৯৯১ এর অধীনে সুরক্ষিত। যেখানে বলা হয়েছে, যেকোনো ধর্মীয় উপাসনালয়কে রূপান্তর করা যাবে না। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
-এটি