আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবৈধ ছাত্র রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে সরকার সবসময় সজাগ ও তৎপর। কোন ছাত্র সংগঠন দেশের প্রচলিত আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে পারে না। লিখিত উত্তরে সংবিধানের ২(ক), ৮(১) ও ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্ম, রাষ্ট্রপরিচালনার মুলনীতি ও ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি বাস্তবায়ন সম্পর্কিত ধারাগুলি তুলে ধরেন তিনি।
সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সনাতন পদ্ধতির কারিকুলাম/সিলেবাসের পরিবর্তে ফলভিত্তিক কালিকুলাম প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাক্রেডিটেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আকস্মিক পরিদর্শন করা হচ্ছে। সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফি কাঠামো সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা চলমান রয়েছে।
একই দলের এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে ডা. দীপু মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে (২০০৯-২০২২) পর্যন্ত এক লাখ ১৪ হাজার জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে ৬ হাজার ৬১ কোটি টাকা অবসর সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত জমাকৃত আবেদনসমুহ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ৩২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তির জন্য তিন হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
-এটি