আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাকিস্তানের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত। পাহাড়ি ঢল আর পানির তোড়ে বিপর্যস্ত খাইবার পাখতুনখোয়া, বেলুচিস্তান আর সিন্ধু প্রদেশ। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বন্যায় ভেসে আর ভূমিধসে নতুন করে প্রাণ গেছে অর্ধশত মানুষের। মোট নিহতের সংখ্যা ১ হাজারের কাছাকাছি। সবমিলিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের ৪ কোটি মানুষ।
বন্যার প্রলয়ংকারী রূপ কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তাই যেন দেখছে পাকিস্তান। পানির তোরে চোখের নিমিষে ভেসে যাচ্ছে বহুতল ভবন, সড়ক আর সেতু। খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু আর বেলুচিস্তান যেন পৌরাণিক কোনো গল্পের ধ্বংসাবশেষ। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলছে ভাঙন। গেল কয়েক দিনে বন্যা এবং ভূমিধসে অন্তত ৫০টি হোটেল ভেসে গেছে। অন্যদিকে ভেঙে পড়েছে ২৪টির মতো স্থায়ী এবং অস্থায়ী সেতু।
এরইমধ্যে সিন্ধু অঞ্চলের সুকুর, রোহরি, খায়েরপুর, ফয়েজগঞ্জসহ ১০টি শহর পুরোপুরি তলিয়ে গেছে পানির নিচে। অঞ্চলগুলোয় এখনও আটকা পড়ে আছে বহু মানুষ। নিখোঁজ অনেকে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ২০১০ সালে সবশেষ বন্যার প্রলয়ঙ্করী রুপ দেখেছিলাম আমরা। কিন্তু এখন যা হচ্ছে তা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই।
এদিকে, সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সম্ভব হচ্ছে না উদ্ধার কাজ। কঠিন হয়ে পড়েছে ত্রাণ সরবরাহ। এ অবস্থায় কিছু এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও তা খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সূত্র: আল জাজিরা।
-এটি