আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মধুর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। এটি চিনির একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ রয়েছে। তবে যে কোনও জিনিসই অতিরিক্ত ভাল নয়। তেমনই অত্যধিক মধু খেলে স্বাস্থ্যের উপকারের পরিবর্তে অপকার বেশি হতে পারে।
ব্লাড সুগার লেভেল: চিনির বিকল্প হিসেবে মধু নিঃসন্দেহে খুবই স্বাস্থ্যকর কিন্তু তার মানে এটা বোঝায় না যে মধু একেবারেই চিনিমুক্ত। এই প্রাকৃতিক মিষ্টিতে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে সক্ষম। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিত পরিমাণ মধু খাওয়া ভাল এবং মধু ব্যবহারের আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
পেটে ব্যথা: প্রতিদিন অত্যধিক মধু খেলে পেটে ব্যথাও হতে পারে। তাই যারা প্রতিদিন মধু খান, তারা পরিমাণটা সীমিত রাখুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য: অত্যধিক মধু খাওয়ার আরেকটি প্রতিকূল প্রভাব হল কোষ্ঠকাঠিন্য। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ চা চামচ মধু খেতে পারেন। এর থেকে বেশি হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি: ওজন কমানোর ক্ষেত্রে চিনির পরিবর্তে মধুই সকলের প্রথম পছন্দ। ওজন কমাতে গরম জল বা লেবুর রসের সঙ্গে মধু খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত মধু খেলে অথবা জল ও লেবুর রসের সঙ্গে না মিশিয়ে খেলে ওজন কমার বদলে বাড়তে পারে।
দাঁতের জন্য ক্ষতিকর: অত্যধিক মধু খাওয়া দাঁতের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয় এবং দুর্বল করে তোলে। দাঁত বিবর্ণ হয়ে যায়। মধু সামান্য অ্যাসিডিক যা দাঁতে ক্যাভিটি হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাছাড়া, মধু আঠালো প্রকৃতির।
রক্তচাপ: মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু মধুর অত্যধিক সেবন হাইপোটেনশনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
-এসআর