রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের নতুন নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান জাতীয় নাগরিক কমিটির

বাংলাদেশে শিয়া মতবাদ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।আবুল ফাতাহ কাসেমী।।

বাংলাদেশে শিয়া ফেতনা বর্তমানে বাংলাদেশসহ এ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম হলেও শিয়া মতাবলম্বীদের বসবাস রয়েছে। শিয়ারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে রয়েছে। মোট জনসংখ্যার প্রায় ২% শিয়া। অধিকাংশ বাংলাদেশি শিয়ারা বিহারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। দাউদী বোহরা সম্প্রদায়ের শিয়াদের মূলত চট্টগ্রামে এবং নিজারি ইসমাইলি সম্প্রদায়ের শিয়াদের মূলত ঢাকায় পাওয়া যায়। ঢাকার বকশীবাজারের হোসেনী দালান হলো বাংলাদেশের বৃহত্তম শিয়া মসজিদ এবং প্রধান। আজিমপুরের মতো জায়গায় অসংখ্য ইমামবাড়া ও শিয়া মসজিদ রয়েছে। আশারিয়া সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে। কুলাউড়া ও রাজটিলার মতো স্থানে এবং সিলেটের বিখ্যাত পৃথিমপাশা পরিবারের সাথে তাদের সম্পর্ক রয়েছে, যারা নিজেরাও শিয়া ছিল। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ভেলাই চোকদারের শিয়া জোড়া মসজিদ রয়েছে। [ই-উকিপিডিয়া]

বাংলাদেশে শিয়াদের কার্যক্রম ও তৎপরতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বর্তমান। শিয়া মতাদর্শের মাত্র ১০ লক্ষ মানুষের বসবাস করে। কিন্তু শিয়াদের রুসম-রেওয়াজ ও বিশ্বাসের প্রভাব দেশের বিপুল সংখ্যক সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে ক্রিয়মাণ। খ্রিষ্ট অষ্টম শতাব্দীতে ভারতবর্ষে ইসলামের আগমন ও প্রচার ঘটলেও শিয়া মতবাদের প্রচার ও বিস্তার ঘটে সতের শতকের প্রথম ভাগে। পারস্যের বণিক ও ভ্রমণকারীরা এ মতবাদ প্রচার করে।

বাংলার মুঘল শাসক শাহ সুজা সুন্নি হলেও শিয়া ধর্মের একজন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তার মা মমতাজ বেগম ছিলেন শিয়া মতাবলম্বী। তার দরবারের অনেক আমির ছিলেন পারস্যের এবং শিয়া মতানুসারী। আঠারো শতকের প্রথমভাগের অধিকাংশ নবাবই ছিলেন শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। সুতরাং এটা নিশ্চিত যে, তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলার মুসলিম সমাজে শিয়া সম্প্রদায়ের দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটেছিল।

শিয়া মতবাদ নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই আমাদের দেশের দাওয়াহ বিভাগগুলোর কাছে। জানা মতে, দেশের কোন দাওয়াহ বিভাগে শিয়া মতবাদ নিয়ে আলাদা গবেষণা ও দাওয়াহ কার্যক্রম চালু নেই।

ইসলামি ইতিহাসের এক কলংকময় অধ্যায় তৈরি করেছে এ শিয়া সম্প্রদায় । তাদের মাধ্যমে পৃথিবীর মুসলিমরা শিয়া সুন্নি নামে দু'ভাগে ভাগ হয়ে যায়। প্রকৃত ইসলামের সাথে তাদের যোজন যোজন দূরত্ব থাকলেও না জেনে অনেকেই তাদেরকে মুসলিম মনে করে থাকেন। শিয়া মতবাদের এ ধারা হাজার বছর যাবৎ মুসলিমদের মাঝে ভ্রান্ত আকিদার বীজ বোপন করে চলেছে। ঈমান বিধ্বংসী এ সম্প্রদায়ের অপয়া তাপ বিশ্বাসী মুসলিমরা আর কতকাল সয়ে যাবেন তাই দেখার বিষয় এখন।

লেখক: অনুবাদক ও শিক্ষক জামিয়া কারিমিয়া আরাবিয়া, রামপুরা, ঢাকা

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ