আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে ইতোমধ্যেই নোঙর করেছে চীনের ‘গুপ্তচর’ জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। পাকিস্তান-আফগান অঞ্চলে নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর নিরপত্তা চীন নিজেই তদারকি করতে চায়।
এজন্য চৌকি প্রতিষ্ঠা করে উক্ত অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করতে চায় দেশটি। উক্ত অঞ্চলে চীন ‘বেল্ট এ্যান্ড রোড’ (বিআরআই) প্রকল্পে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাধ্যমে চীন মধ্য এশিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এমনআই, রিপাবলিকওয়ার্ল্ড
একটি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানে চীনের বিনিয়োগের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিসিয়েটিভ প্রকল্পে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রাস্তা বানাচ্ছে চীন। এদিকে শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, ক্রমাগত বেইজিংয়ের উপর সামরিক এবং কূটনৈতিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে ইসলামাবাদ। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মধ্য এশিয়ায় প্রভাব বাড়াতে আফগানিস্তানের দিকেও হাত বাড়িয়েছে বেইজিং।
তিন হাজার কিলোমিটার লম্বা চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক প্রকল্পের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানে একসময় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চীন। উল্লিখিত অর্থনৈতিক প্রকল্পটি এমন এলাকার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, যার প্রায় পুরোটাই সন্ত্রাসী হামলায় বিদীর্ণ।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ থেকে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ইরানের কাছাকাছি গোয়াদর বন্দর থেকে প্রকল্প শুরু। বেলুচিস্তান একটি কলহপূর্ণ প্রদেশ।
গিলগিট-বালতিস্তান ও বেলুচিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় এই সেনা মোতায়েন থাকবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। এই অর্থনৈতিক প্রকল্প চীনের পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর দিয়ে চীন সরাসরি আরব সাগর তথা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পৌঁছে যেতে পারবে। পশ্চিম এশিয়া থেকে জ্বালানি তেল এবং পেট্রোলিয়াম আমদানি করতে চীনকে দীর্ঘ সামুদ্রিক পথ পাড়ি দিতে হত।
এদিকে চীন পাকিস্তানে সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করায় উদ্বেগে রয়েছে ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েল দাবি, আসলে ভারতের পশ্চিম সীমান্তেও নিজেদের সেনা মোতায়েন করতে চায় চীন।
-এটি