আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১৭টি স্থানে একযোগে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, দৃশ্যত এটি একটি সমন্বিত হামলা। এতে অন্তত সাত জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাত্তানি, ইয়ালা, নারাথিওয়াতে মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর তিনটি প্রদেশের নিত্যপণ্যের দোকান ও গ্যাস স্টেশন লক্ষ্য করে এসব বোমা ও আগুন হামলা চালানো হয়। এসব হামলা বুধবার ভোর পর্যন্ত চলে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এখন পর্যন্ত কোনও সংগঠন এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ইন্টারনাল সিকিউরিটি অপারেশনস কমান্ড (আইএসওসি) অঞ্চল ৪ অনুসারে হামলাকরীর লক্ষ্য ছিল এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে ব্যাহত করা।
আইসোক অঞ্চল ৪ -এর উপ-পরিচালক মেজর জেনারেল প্রমোট প্রম-ইন বলেন, পাত্তানিতে দুটি, ইয়ালায় ছয়টি এবং নারাথিওয়াতে নয়টি হামলা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাত্তানির নং চিকের। সেখানে একটি ব্যাং চাক পেট্রোল স্টেশন পুড়ে গেছে।
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই কম মাত্রার বিদ্রোহী তৎপরতা চলছে। মূলত মুসলিম অধ্যুষিত পাত্তানি, ইয়ালা, নারাথিওয়াত এবং শঙ্খলা প্রদেশের অংশবিশেষে স্বাধীনতার দাবির বিরুদ্ধে লড়াই করছে থাই সরকার।
২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ সংঘাতে সাত হাজার তিনশ’রও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে সহিংসতা পর্যবেক্ষণকারী গ্রুপ ডিপ সাউথ ওয়াচ। এ সংঘাত নিরসনে ২০১৩ সালে শান্তি আলোচনা শুরু হলেও বারবার তা বিঘ্নিত হয়েছে।
পিইউএলও এর নেতা কস্তুরি মাখোতা হামলা প্রসঙ্গে বলেছেন এর সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনও সম্পৃক্ততা নেই।
-এটি