আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন চা-শ্রমিকরা।
রোববার বিকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন চা-শ্রমিকরা।
এ সময় ইউএনও কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দাশ তাপস স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও সংগঠনের বালিশিরা ভ্যালির শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধিদল গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এদিন সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গলের ইউএনও আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, আমরা শ্রমিকদের স্মারকলিপি পেয়েছি। দ্রুতই তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
প্রতিনিধিদলে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা, বালিশিরা ভ্যালির সহ-সভাপতি সবিতা গোয়ালা, সাধারণ সম্পাদক দেবেন্দ্র বারাইক, সাংগঠনিক সম্পাদক কর্ণ তাঁতী, খেজুরী ছড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মহেশ্বর দাস, উপদেষ্টা সুমন কুমার তাঁতী উপস্থিত ছিলেন।
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, চা শ্রমিকরা নিরুপায়। যে বেতন দেওয়া হয় তাতে চলে না। একদিন কাজ না করলে সেদিন অভুক্ত থাকতে হয়। এই অবস্থায় নিজের লোকসান স্বীকার করেও ভালো কিছুর জন্য আন্দোলন করছি। দাবি না মানলে আন্দোলন দীর্ঘ হবে। এরই মধ্যে টানা পাঁচদিন আন্দোলন হয়েছে। মালিকপক্ষ সাড়া দেয়নি। শ্রমিকদের প্রতি মালিকপক্ষের দয়ামায়া নেই বললেই চলে।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় আমরা শ্রমিকরা নিরুপায় হয়েই শেষ ভরসাস্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের ২৪০টি চা বাগানের শ্রমিক ৯ অগাস্ট থেকে প্রতিদিন দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছিলেন। কর্মবিরতি শেষে দিনের বাকি সময়ে তারা কাজে ফিরেছিলেন। তবে দাবি না মানলে বাগান ‘অচল’ করে দেওয়ার হুমকি তখনি দিয়েছিলেন শ্রমিক নেতারা। এর মধ্যে শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রম অধিদপ্তরের আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস পাননি শ্রমিকরা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যান শ্রমিকরা
-এএ