আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী বলেছেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। অকল্পনীয়ভাবে পেট্রোল, ডিজেল, অকটেনসহ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। জিনিসপত্রের দামও বেড়েই চলছে। মানুষের কষ্টের সীমা নেই। মানুষকে বাঁচতে দিন। দু বেলা ভাত খেয়ে বাঁচতে পারে সে ব্যবস্থা করুন। না হয় দেশের পরিস্থিতি ভালো থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। দুর্নীতি বন্ধ হলেই দেশের মানুষ ও রাষ্ট্রের লাভ হবে। দুর্নীতিবাজদের কারণে সমাজ ও রাষ্ট্র মহাবিপর্যয়ের পথে। সারাদেশে অধিকহারে লোডশেডিং এ মানুষ অনেক কষ্টে আছে। সরকারি অফিস আদালতে এখনও যে পরিমান বিদ্যুৎ অপচয় ও বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি হচ্ছে। তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে এতো লোডশেডিং করতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, খেলাফত শাসন ব্যবস্থা না থাকায় মানুষ তাদের কোনো অধিকার ভোগ করতে পারছে না। সুতরাং খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমাদের জান ও মাল দিয়ে অংশ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দ্বীর্ঘ ১৫ মাস যাবত সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ অনেক ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও আলেম উলামা কারাগারে বন্দী। মামুনুল হকসহ কয়েকজন খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেম উলামাদের মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বিরোধী দল ও মতের কোনো কর্মসূচি দিলে নানা ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে এমনকি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে লাঠিচার্জ কোনোভাবেই কাম্য নয়। মানুষকে কথা বলার সুযোগ দিন। বাধা দিয়ে মানুষের কন্ঠকে স্তবদ্ধ করা যাবে না।
তিনি আজ পুরানা পল্টনস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার তৃতীয় অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শূরায় মাওলানা মামুনুল হক সহ ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও আলেম উলামাদের মুক্তির দাবীতে দেশব্যাপী গণ স্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং আমীরে মজলিস গণ স্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্ভোধন করেন।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মুফতী সাঈদ নূর, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা কোরবান্ আলী, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল হক, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূইয়া, সহ-বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, নির্বাহী সদস্য মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, মুহাম্মদ আব্দুর রহীম, মাওলানা সাব্বির আহমদ উসমানী, মাওলানা রুহুল আমীন খান, ঢাকা মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা নূর মোহাম্মদ আজিজী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুমিন প্রমূখ।
শূরায় আল্ল¬াহ, রাসূল সা. ও ইসলামের বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান পাশ, কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা, কারাবন্দী সংগঠনের মহাসচিবসহ আলেম-উলামাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা, জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, খেলাফত প্রতিষ্ঠার আহবানসহ ৮ দফা প্রস্তাব পাশ হয়।