রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

এখনো খালি চোখে কোরআন পড়েন শতবর্ষী নুরন্নবী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভোটার আইডি কার্ডের হিসাব অনুসারে নুরন্নবী মিয়ার বয়স ১১০ বছর। তবে এলাকার অনেকের দাবি তার বয়স আরও বেশি। এই বয়সেও নিজে হেঁটে মসজিদে যান। নিয়মিত নামাজ পড়েন, কোরআন তেলাওয়াতও করেন।

শুধু তাই নয় শতবর্ষী এই বৃদ্ধ এখনো খালি চোখে সব কিছু স্পষ্ট দেখতে এবং পড়তে পারেন। বছরের পর বছর ধরে চশমা ছাড়াই খালি চোখে কোরআন পড়ছেন। নুরন্নবী মিয়ার রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের কসাইটারী ডাক্তারপাড়া গ্রামের মৃত নজর উদ্দিন কাগজিয়ার ছেলে। সংসার জীবনে নুরন্নবী মিয়ার ছয় ছেলে ও চার মেয়ে আছে।

নুরন্নবী মিয়া বলেন, ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানি শোষণ আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম দেখেছেন। বয়সের ভারে শত বছরের অনেক স্মৃতিই এখন তিনি ভালো করে বলতে পারেন না। কিন্তু ভেজালমুক্ত ভালো খাবার খেতে পারলে ভবিষ্যৎ ভালো বলে জানান শতবর্ষী এই বৃদ্ধ।

তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই হেঁটে হেঁটে চারদিক ছুটেছি। যুবক বয়সে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গায় হেঁটে যাতায়াত করেছি।

নুরন্নবী মিয়া বলেন, যুবক বয়সে যেসব খাবার খেয়েছি, তার সবই ছিল ভেজালমুক্ত। নিজেদের বাড়ির গরুর দুধ, ডিম, খেতের শাক-সবজি, পুকুরের মাছ, সরিষার তেল, ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত কত স্বাদ ছিল। সব খাবার ছিল একদম নির্ভেজাল। আর এখন সবই ভেজাল।

তিনি বলেন, এখন মানুষের মধ্যে ভেজাল, খাবারে ভেজাল, ওষুধে ভেজাল, আমাদের চারপাশটাই যেন ভেজালে পরিণত হয়েছে। এ কারণে মানুষের রোগবালাইও কমছে না। অথচ এই বয়সেও আমার কোনো অসুখ-বিসুখ নেই। আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। মাঝে মধ্যে একটু জ্বর-সর্দি হয়। এছাড়া তেমন বড় কোনো সমস্যা হয়নি।

সম্প্রতি রিকশা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন নুরন্নবী মিয়া। সেই দুর্ঘটনায় নাকে আঘাত পেয়েছেন তিনি। তবে এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ বলেও জানান।

নুরন্নবী মিয়া বলেন, এখন তো ৬০ বছর বয়স হলেই আমাদের দেশের মানুষ মৃত্যুর প্রহর গুনতে শুরু করে। শুরু হয় নানা রোগবালাই। অনেকে হাঁটতেও পারেন না। তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি এখনও প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ি। ভোর থেকে খালি চোখেই পবিত্র কোরআনও পড়ে থাকি। কোরআন তেলাওয়াতের কারণে আল্লাহ আমাকে এখনও খালি চোখে সব কিছু দেখার শক্তি দিয়েছেন। আমার চোখে কোনো সমস্যা নেই। শুধু কানে একটু কম শুনতে পাই।

নুরন্নবী মিয়ার ভাতিজা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, আমার বড় বাবার বয়সী কোনো মানুষ আর হারাগাছে নেই। এই বয়সেও আমার জেঠা খালি চোখে কোরআন শরীফ নিয়মিত পড়ছেন, এটা একটা দৃষ্টান্ত। তার চলাফেরায় রয়েছে বেশ সতেজতা। তিনি শতবর্ষী হলেও এখনো বেশ সচেতন। মানুষের কল্যাণে সব সময় আল্লাহর কাছে কান্না করেন। তার মতো মানুষের জন্য হারাগাছের মানুষ গর্ববোধ করেন।

-এসআর

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ