আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আমরা সকলেই কমবেশি ফল খেতে পছন্দ করি। এছাড়া ড্রাই ফ্রুটস সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। ড্রাই ফ্রুটস খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন আমাদের স্বাস্থ্যেরও অনেক উপকার করে। বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুটসের মাঝে কিশমিশও রয়েছে। তবে কালো কিশমিশে দারুণ উপকারিতা রয়েছে।
কালো কিশমিশ ফাইবার, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, পলিফেনল এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এটি কোলেস্টেরল, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি চুল পড়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে কালো কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুণ উপকারিতা রয়েছে।
জেনে নিন কালো কিশমিশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে:
অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সহায়তা করে: কালো কিশমিশ ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে। তাছাড়া ক্যালসিয়ামের অভাবে অস্টিওপোরোসিসের মতো গুরুতর হাড়ের ব্যাধিও দেখা দিতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, কালো কিশমিশে উপস্থিত মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
চুলের ক্ষেত্রে উপকারি: চুল ফাটা এবং রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত কালো কিশমিশ খাওয়া শুরু করুন। কালো কিশমিশ ভিটামিন সি এবং আয়রনের পাওয়ার হাউস। এটি চুলে পুষ্টি যোগায়, চুল ভালো রাখে।
তাছাড়া এটি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, চুলের ফলিকলগুলিকেও উদ্দীপিত করে এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করে। এর উচ্চ ভিটামিন সি উপাদান চুলে পুষ্টি জোগায় তাই চুলের অকাল পক্কতা হওয়া রোধ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: কালো কিশমিশ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। কিশমিশে থাকা উচ্চ পটাসিয়াম শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
খারাপ কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে লড়াই করে: কালো কিশমিশে কোলেস্টেরল থাকে না বরং এটি আমাদের শরীরে পাওয়া লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (LDL) বা তথাকথিত 'খারাপ' কোলেস্টেরলের বিরূপ প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
গবেষণা অনুযায়ী, কালো কিশমিশে প্রচুর দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা মূলত একটি অ্যান্টি-কোলেস্টেরল যৌগ। কালো কিশমিশে উপস্থিত পলিফেনলস, বিভিন্ন কোলেস্টেরল-শোষক এনজাইমকে নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত কালো কিশমিশ খাওয়া শুরু করুন। কালো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপস্থিত যা মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং মসৃণভাবে চলাচল করতেও সহায়তা করে।
রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করে: কালো কিশমিশ আয়রন সমৃদ্ধ, যাদের রক্তাল্পতার সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত এক মুঠো কালো কিশমিশ খেলে উপকার পেতে পারেন।
ব্লাড পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে: রক্তে অমেধ্য বা অপরিষ্কার রক্তের ফলে শুষ্ক ত্বক এবং ব্রণ-পিম্পলের সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন কালো কিশমিশ খেলে রক্ত থেকে টক্সিন, বর্জ্য পদার্থ এবং অন্যান্য ময়লা দূর হয়। এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরকে সম্পূর্ণরূপে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
দাঁতের ক্ষেত্রে ভালো: কালো কিশমিশে উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যালস, দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করার পাশাপাশি মুখে উপস্থিত জীবাণু ও ক্যাভিটির বিপক্ষে লড়াই করতেও সহায়তা করে। তাছাড়া কালো কিশমিশ বেশ কয়েকটি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতেও বাধা দেয়। যার ফলে দাঁতের ক্ষয় হয়।
-এসআর