আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আপনার কয়েক ফোঁটা রক্তই বাঁচিয়ে দিতে পারে একজন মুমূর্ষ ব্যক্তির প্রাণ৷ তাই রক্তদানকে মহৎ দান বলা হয়। রক্ত দিয়ে যেমন জীবন বাঁচানো যায়, ঠিক তেমনই রক্তদান করলে দাতার শরীরেরও অনেক উপকার হয়। তবে রক্ত দেওয়া বা নেওয়ার সময় সামান্য ভুল হলেই নষ্ট হতে পারে জীবন৷ অনেকেই জানেন না, রক্ত দেওয়ার আগে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখতে হয়।
জেনে নিন কাদের ভুলেও রক্তদান করা উচিত নয়:
সম্প্রতি রক্ত দান: বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত একজন ব্যক্তির দুই মাস বা ৫৬ দিনে এক বার রক্তদেওয়া উচিত। রক্তদাতার সুস্বাস্থ্য এ জন্য এই নিয়ম মানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই এই সময়ের মধ্যে কোনও ব্যক্তি একবার রক্ত দিয়ে থাকলে, দ্বিতীয়বার তাকে রক্ত দান করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয় না।
গর্ভবতী: গর্ভবতীদের রক্তদানের অনুমতি দেওয়া হয় না। বেশিরভাগ মহিলাই গর্ভাবস্থায় অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভোগেন। তাই রক্তদান করলে তাদের আয়রনের ঘাটতির ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে।
জ্বর বা সর্দি-কাশি: জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি, কাশি, পেটের সমস্যা অথবা অন্য কোনও সংক্রমণ হলেও রক্তদান করা যায় না। সম্পূর্ণ সুস্থ ও সবল থাকলে তবেই রক্তদান করুন।
ট্যাটু: আপনার শরীরে ট্যাটু অথবা শরীরের কোনও অংশে ছিদ্র (নাক, কান, ভ্রু, নাভি ফোটানো) করে থাকেন, তবে সেই তারিখ থেকে আগামী ছয় মাস রক্তদান করতে পারবেন না।
কম ওজন: ওজন কম হলে অর্থাৎ যদি আপনার ওজন ৫০ কেজির নীচে হয়, তাহলেও রক্তদানের অনুমতি দেওয়া হয় না। তাই, রক্তদাতার ওজন কমপক্ষে ৫০ কেজি হওয়া উচিত।
বয়স: রক্তদাতার বয়স ১৮ থেকে ৬৫-এর মধ্যে হলে ভালা হয়। তবে কিছু দেশের জাতীয় আইন অনুযায়ী ১৬-১৭ বছর বয়সীদেরও রক্তদান করার অনুমতি আছে। কিছু দেশে চিকিৎসকের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদেরও রক্তদানের অনুমতি দেওয়া হয়।
উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপ থাকলেও রক্তদানের অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে। যাদের লো ব্লাড প্রেসার আছে, তারা রক্তদানের পরে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
যক্ষ্মা: যক্ষ্মা রোগীদের রক্তদানের অনুমতি দেওয়া হয় না। এই রোগ খুব সহজেই রক্তদাতার শরীর থেকে গ্রহণকারীর রক্তে চলে যেতে পারে।
এইডস: এইডসও রক্তদাতার শরীর থেকে গ্রহণকারীর শরীরে পোঁছতে পারে। তাই এইডস রোগীদেরও রক্তদানের অনুমতি দেওয়া হয় না।
উপরের সকল তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। তাই কোনও কিছু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
-এসআর