আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রহিম নিহতের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার ভোলায় সকাল–সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
সকাল থেকেই শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করছে। লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শহরে দোকানপাট বন্ধ আছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন, তারা সতর্ক অবস্থায় আছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। ভোলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলী সুজা জানান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার (৩১ জুলাই) বিএনপির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপি তেল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামতে গেলে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ ৩৫ রাউন্ড টিয়ারসেল এবং ১৬৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। প্রাণ হারায় আব্দুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী।
ওই সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম গুরুতর আহত হন। ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল এবং ওই দিনই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ৩ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
-এএ