আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নারীদের গর্বের সাথে হিজাব পরিধানের আহবান জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টের প্রথম হিজাবি নারী সদস্য ফাতেমা পাইমান। গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ান সিনেটে দেওয়া তার এক বক্তব্যে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
নিজের হিজাব পরিধানের বিষয়ে ফাতেমা পাইমান বলেন, পার্লামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার সত্যিকার বৈচিত্র্যের প্রতিফলন শুরু হলো।
তিনি বলেন, ‘এক শ বছর আগে, ধরুন ১০ বছর আগেও কি এই পার্লামেন্ট হিজাব পছন্দ করে এমন একজন নারীকে নির্বাচিত করতে প্রস্তুত ছিল? আমার কী পরিধান করা উচিত, তা দিয়ে যারা আমাকে বিচার করতে চান অথবা আমার বাহ্যিক পরিচ্ছদ দ্বারা অভ্যন্তরীণ যোগ্যতার মূল্যায়ন করতে চান তারা জেনে রাখুন, হিজাব আমার পছন্দ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই যেসব তরুণী হিজাব পরিধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা তা গর্বের সঙ্গে করুক এবং তারা এটা জেনেই হিজাব পরিধান করুক যে তাদের তা পরিধানের অধিকার আছে। আমি রাস্তায় কাউকে হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল দ্বারা মূল্যায়ন করি না। আমি আশা করি না, মানুষ আমার ব্যক্তিগত পোশাক দ্বারা বিচার করুক। ’
সিনেটর ফাতেমা পাইমান আট বছর বয়সে মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের সাথে শরণার্থী হিসেবে আফগানিস্তান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তার সিনেটর হওয়ার পেছনে তার অসামান্য ত্যাগের কথা স্মরণ করে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
পাইমান জানান, ১৯৯৯ সালে তার বাবা নৌকায় করে শরণার্থী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন এবং তাকে শরণার্থী বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়। চার বছর বাবুর্চি, ড্রাইভার ও নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেন তিনি।
ফাতেমা পাইমানের আগে মেহরিন ফারুকি ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে সিনেটর নির্বাচিত হন। তবে তিনি হিজাব পরিধান করেন না। চলতি বছরের শুরুতে অ্যানি আলী ও অ্যাড. হুইসিক অস্ট্রেলিয়ার প্রথম মুসলিম মন্ত্রী হওয়ার ইতিহাস গড়েন।
-এটি