।। মুযযাম্মিল হক উমায়ের ।।
১> খাবারের আগে-পরে উভয় হাত ধোয়া৷ ২> খাবারের সময় আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করা৷ ৩> খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা এবং খাবারের শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা৷ ৪> খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়েছে কী না জানা না থাকলে, নিজে বিসমিল্লাহ বলে খানা শুরু করা৷
৫> ডান হাতে খাবার খাওয়া৷ ৬> ওজর ছাড়া বাম হাতে খাওয়া নিষেধ৷
৭> তিন আঙ্গুল দিয়ে খাওয়া৷ প্রয়োজনে অধিক ব্যবহার করার অনুমতি আছে৷ ৮> আঙ্গুল এবং প্লেট চেটে খাওয়া৷ ৯> খানা পড়ে গেলে তা তুলে পরিস্কার করে খেয়ে নেওয়া৷ শয়তানের জন্য রেখে না দেওয়া৷
১০> পুরোপুরি পেট ভর্তি করে না খাওয়া৷ ১১> একটি করে খাওয়া যায় এমন খাবার খাবারের অন্য সাথীরা অনুমতি না দিলে, একটি করে খাওয়া৷ যেমন, খেজুর, বাদাম, বুট ইত্যাদি৷ম ১২> খাবার খাওয়ার সময় বিনয়ী হয়ে বসা৷
১৩> হারাম খাবারের মজলিসে না বসা৷ ১৪> টেবিলে না খেয়ে দস্তরখানে খাবার খাওয়া৷ ১৫> খাবারের মধ্যখান থেকে না খাওয়া৷ ১৬> ওজরের কারণে দাঁড়িয়ে খাওয়ারও অনুমতি আছে৷
১৭> খাবারের দোষ না ধরা৷ চাহিদা থাকলে খেয়ে নেওয়া৷ অন্যথায়, না খাওয়া৷ ১৮> একসাথে বসে খাবার খাওয়া৷ ১৯> একসাথে খাবার গ্রহণের সময়, বয়সে ও ইলমে যিনি বড়, তাঁর মাধ্যমে খাবার খাওয়া শুরু করা৷ ২০> স্বর্ণ-রোপার পাত্রে খাবার-পানীয় গ্রহণ করা হারাম৷
২১> গরম খাবার ঠান্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা৷ ২২> অপচয় ও কৃপণতা পরিহার করা৷ ২৩> খাওয়ার আগে ওজু করা মুস্তাহাব নয়৷ ২৪> খাবার উপস্থিত, সাথে চাহিদাও অনেক- এমন সময় নামাজের আগে খানা খেয়ে নেওয়া৷ খাওয়ার পর নামাজ পড়া৷
২৫> নিজের সামন থেকে খানা খাওয়া৷ ২৬> খাবারের গরম ভাব চলে যাওয়ার পর, খাবার গ্রহণ করা মুস্তাহাব৷
২৭> গোশত খাওয়ার দ্বারা ওজু ভেঙে যায় না৷
২৮> প্রতিযোগী খাবারদাতার খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা৷ ২৯> খাবারের সময় দুনিয়াবী কথাবার্তা না বলে, দীনি আলোচনা করা মুস্তাহাব৷
সূত্র: ফাসলুল খিতাব লিজজুহদ
-কেএল