সাইদুল ইসলাম আবির
রায়গঞ্জ প্রতিনিধি>
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আমন ধান চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে কৃষকরা। উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রোপা আমন আবাদের ধুম চলছে। জমি তৈরি, চাষাবাদ আর জমিতে চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এবছর হালকা বৃষ্টির পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের সবুজ মাঠে সোনালী স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা। তবে আশঙ্কা রয়েছে গেছে ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখন আমন চাষের ভরা মৌসুম চলছে। শ্রাবণের মাঝামাঝি সময় এসে একটু প্রত্যাশিত বৃষ্টি পেয়ে কৃষক জমিতে চাষ আর চারা রোপণে ব্যস্ত। কেউ জমি তৈরীতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। বিস্তৃর্ণ ক্ষেতের সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। বর্তমানে ধান গাছের পরিচর্যায় যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের। রোদ, ঝড়-বৃষ্টিতে একমনে কাজ করেন তারা। কাজের ফাঁকে মাঠের ক্ষেতে বসেই খাচ্ছেন সকালে নাস্তা আর দুপুরের খাবার।
উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের কৃষক করিম জানান, চলতি মৌসুমে তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানি না পাওযায় চাষাবাদে একটু অসুবিধা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলনও বেশ ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তবে ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে নানা জটিলতার কারণে বাধ্য হয়েই ব্যাপারীদের কাছে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। সরকার সহজ উপায়ে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে নিলে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হতো বলে মনে করছেন তারা।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা আমন ধানে লাভবান হবে। এ বছর উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৭৮০ হেক্টওর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সে লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এছাড়া কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে বলে জানান তিনি।
-এএ