সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি>
মদীনাতুন নূর ইউকের চেয়ারম্যান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ইউকের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ বলেন, আমরা যে কোনো দুর্যোগ ও বিপদে মহান আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায়ের মাধ্যমে ধৈর্য ধারণ করবো। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে বিপদের সময় একে অপরের সাহায্য করা, মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা। সিলেট সুনামগঞ্জে চলতি বছরের জুন মাসের ভয়াবহ বন্যায় দেশ বিদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে উলামায়েকেরামগণ ধাপে ধাপে প্রতিটি উপজেলার বন্যা কবলিত বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের মানাউরা গ্রামে বানবাসি মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি উলামায়েকেরামগনও যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্নভাবে বন্যা দুর্গত মানুষের সাহায্যের্তে এগিয়ে এসেছেন। উলামাগণ কেন পাশে দাঁড়িয়েছেন, বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন কারণ উলামায়ে কেরামগণ হচ্ছেন ওরাসাতুল আম্বিয়া। নবী করিম সা. এর ওয়ারিশ তারা। আল্লাহর নবী নিজে না খেয়ে, পেটে পাথর বেঁধে মানুষকে আহার করাইয়াছেন। মানুষের বিপদে এগিয়ে এসেছেন। আমারা উলামাগণ আল্লাহর নবী প্রদত্ত আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময় অসহায় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবো। আমাদের চাইতে যে আরও কঠিন অবস্থায় আছে বেশি বিপদগ্রস্ত তার অবস্থা দেখে আমরা মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে বেশি বেশি করে শুকরিয়া আদায় করবো। উলামায়ে কেরামেরগনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবো তাদের মহব্বত করবো। কারণ কঠিন কিয়ামতের দিন যার সাথে যার ভালো সম্পর্ক তার সাথে তার হাশর হবে। উলামায়ে কেরামগণ নবী রাসুলের ওয়ারিশ তাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকলে আমাদের জান্নাতের পথ সুগম হবে।
কানাডা অবস্থানরত জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব টরন্টোর পক্ষ থেকে সিলেট নগরীর উম্মুল কোরা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় এবং হাফিজ মাওলানা আহমদুল হক উমামার সহযোগিতায় ওয়ার্ড মেম্বার সিদ্দিক আহমদের সভাপতিত্বে নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের মানাউরা গ্রামে বানবাসি মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি হাফিজ মাওলানা আহমদুল হক উমামা, সাংবাদিক শাহিদ হাতিমী ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা এনামুল হক।
-এএ