আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিদ্যুৎ রাষ্ট্রীয় সম্পদের মধ্যে অন্যতম একটি সম্পদ। বিদ্যুতের ওপর দেশের অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভর করে। কিন্তু বর্তমানে যে হারে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা যাচ্ছে, এর ফলে আমাদের অর্থনীতির মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। ইসলামও অপচয় ও অপব্যয় উভয়ই থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম একটি ভারসাম্যপূর্ণ কল্যাণকর আদর্শ। কুরআনের সুরা বনি ইসরায়েলের ২৬-২৭ আয়াতে কিছুতেই অপব্যয় করো না। নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য শহরের কল-কারখানা ও বিভিন্ন কার্যালয় বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলেও এ সমস্যা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকার বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা ভাবছে। তাই আমাদেরও অপচয় থেকে বিরত থাকতে হবে।
সুরা আরাফের ৩১ আয়াতে এরশাদ হয়েছে- তোমরা খাও এবং পান করো, কিছুতেই অপচয় করো না। নিশ্চয় আলল্গাহতায়ালা অপচয় ও অপব্যয়কারীকে পছন্দ করেন না। মুসলিম শরিফে বর্ণিত- রাসুল সা. বলেছেন, কারও ঘরে একটি বিছানা তার জন্য, অপরটি তার স্ত্রীর জন্য, তৃতীয়টি মেহমানের জন্য এবং চতুর্থটি শয়তানের জন্য। নদীতে বসে ওজু করলেও তা অপচয় করতে নিষেধ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ইবনে মাজাহে বর্ণিত, একদা নবী সা. হজরত সা'আদের রা. পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি ওজু করছিলেন। নবী সা. বললেন, হে সা'আদ, অপচয় করছ কেন! সা'আদ বললেন, ওজুতে কি অপচয় হয়? নবী সা. বললেন, হ্যাঁ, প্রবহমান নদীতে বসেও যদি তুমি অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করো, তা অপচয়। এ আয়াত ও হাদিসের শিক্ষা অনুযায়ী প্রতিটি মানুষকে মিতব্যয়ী হতে হবে। ধনসম্পদের অধিকারী হলেই প্রয়োজন ব্যতীত নিজের খেয়ালখুশি অনুযায়ী ব্যয় করা যাবে না।
আমাদের লাগামহীন বিদ্যুৎ অপচয় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বড় একটি কারণ। সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। তারপরও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে অর্থনীতিতে একদিকে যেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, অন্যদিকে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। জাতীয় সম্পদ বিদ্যুতের অপচয় রোধে প্রতিটি নাগরিকদের সচেতন হওয়া জরুরি।
-আবদুল্লাহ তামিম