আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে মসজিদে এসি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে এসি একেবারে বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। নামাজের সময় মসজিদের এসি চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এই কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামীকাল থেকে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়া হবে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না গেলে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিটি মসজিদের এসি বন্ধ রাখা হবে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে প্রশ্ন তুলেন, সরকারি অফিস-আদালত, বিভিন্ন মার্কেটে যেখানে প্রচুর বিদ্যুৎ ব্যয় করে এসি চলে সেখানে বন্ধ না করে মসজিদের এসি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ১৯ জুলাই থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং, দিনে এক-দুই ঘণ্টা লোডশেডিং, ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ, সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রোল পাম্প, রাত আটটার পর শপিং মল বন্ধ, সরকারি-বেসরকারি সভা হবে ভার্চুয়ালি এবং অফিসের সময় এক থেকে দুই ঘণ্টা কমানো।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী বলেন, করোনার অভিঘাতের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন।
সারাদেশে বিদ্যুতের যে চাহিদা রয়েছে, উৎপাদন হচ্ছে তার চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ কম, যা লোড ব্যবস্থাপনার (লোডশেডিং) মাধ্যমে সমন্বয় করতে হচ্ছে।
-এটি