আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাশিয়া, ইরান ও চীনকে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের শেষ দিন এমন মন্তব্য করেন তিনি। গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের নেতাদের সাথে বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অংশীদারিত্ব বজায় থাকবে বলেও জানান বাইডেন।
মধ্যপ্রাচ্য যাওয়ার আগেই এ সফরের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে দেয়া বক্তব্যে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও মধ্যপ্রাচ্যে চীন ও রাশিয়ার প্রভাব রুখতে সৌদি আরবের বিশেষ গুরুত্বের ওপর জোর দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চারদিনের সফরের শেষ দিন গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের নেতাদের সাথে বৈঠকে আবারো এই প্রসঙ্গ তোলেন জো বাইডেন। সাফ জানান, রাশিয়া, ইরান ও চীনকে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলায় ইতিবাচক ফল আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতার বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট দৃষ্টি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তার উদ্দেশ্য সম্পর্কেও দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অংশীদারিত্ব আগের মতোই বজায় থাকবে। এখানে চীন, রাশিয়া বা ইরানকে প্রভাব খাটানোর কোনো সুযোগ দেয়া হবে না।
সম্মেলনে জ্বালানি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার পাশাপাশি খাদ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নেতারা। আলোচনা হয়, ইরান ও ইসরায়েল ইস্যুতেও।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকার অঙ্গীকার করলেও ভিন্ন সুর শোনা গেছে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠে। সংবাদ সম্মেলনে ফয়সাল বিন ফরহাদ আর সৌদ বলেন, তেহরানের সাথে সুসম্পর্ক চায় রিয়াদ।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফরহাদ আর বলেন, ইরানের প্রতি সৌদি আরবের বন্ধুত্বের হাত এখনো প্রসারিত রয়েছে। প্রতিবেশী ইরানের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্কে পৌঁছানোর পথ খুঁজতে আগ্রহী আমরা। এখন পর্যন্ত যে আলোচনা হয়েছে, সেগুলোকে ইতিবাচক বলা যায়, যদিও এখনো কাঙ্ক্ষিত ফলাফলে পৌঁছাতে পারিনি আমরা।
এসময় ইসরায়েলের সাথে কোনো ধরনের সামরিক বা প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসাথে ইসরায়েলের যাত্রীবাহী বিমান চলাচলের জন্য সৌদি আকাশসীমা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
-এটি