আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক), উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ মোট ১৮৯টি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর হয়ে হাতপাখার প্রতীকে মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ওয়ায়েজ মাওলানা রাশেদুল ইসলাম রহমতপুরী। ভোটের পরিবেশ বিঘ্ন হওয়ার শঙ্কা করলেও সোমবার পর্যন্ত তারা যে প্রচারণা করেছেন তাতে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী তিনি।
গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাওলানা রাশেদুল ইসলাম বলেন, `আলহামদুলিল্লাহ আমরা প্রচার-প্রচারণার শুরুর দিক থেকেই, ২৭ তারিখে আমরা প্রতীক পেয়েছি ওই দিন থেকেই আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে দাওয়াত নিয়ে গেছি। ভোটাররা আমাদেরকে আলহামদুলিল্লাহ ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। আমরা আশা করি, আগামী কালকে ওনারা হাতপাখা মার্কায় ভোট দিয়ে কাঙ্খিত পরিবর্তনের লক্ষ্যে ইনশাআল্লাহ মেয়র পদে আমাদেরকে নির্বাচিত করবেন।'
প্রচার-প্রচারণায় কেমন হয়েছে এ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'প্রচার প্রচারণার ছিল কিন্তু সেখানে ক্ষমতাসীনদের কিছু বাধা-বিপত্তি হুমকি-ধামকিও ছিল। তারপরও আমরা আমাদের আঙ্গিকে যথেষ্ট পরিমাণ মাইকিং, পোস্টারিং এবং গণসংযোগ চালিয়ে গিয়েছি।'
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দুই লাখ ২৯ হাজার ভোটারের সকলের কাছেই হাতপাখার আহবান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই মেয়র প্রার্থী।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'ভোটের পরিস্থিতি বিঘ্ন হওয়ার আশঙ্কা আমরা করছি। কারণ হলো আপনারা জানেন নির্বাচন কমিশন থেকে আইন অনুযায়ী আমাদেরকে সদরের মাননীয় সংসদ সদস্যকে নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে দেয়ার জন্য বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি যাননি। যার কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে একটা কথা সারা দেশবাসীর জানতে পেরেছেন, উনারা ব্যর্থ হয়েছেন, বাহার সাহেবকে এলাকা ছাড়াতে পারেননি। উনি এলাকাতেই আছেন। এর একটা বিরূপ প্রভাব তো অবশ্যই আগামীকালকে নির্বাচনে পড়বে। এজন্য আমরা শঙ্কিত।'
নির্বাচনী এজেন্টদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আলহামদুলিল্লাহ আমরা ১০৫ টা কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলো কেন্দ্রে আমরা এজেন্ট দেয়ার জন্য চেষ্টায় আছি এবং ইতিমধ্যেই আমরা মেজরিটি কেন্দ্রের এজেন্টদের কাগজপত্র প্রস্তুত করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামী কালকে চেষ্টা করবো আমরা সবগুলো কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়ার জন্য।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর এই প্রার্থী বলেন, 'ভোটার যদি আমাদেরকে ভোট দিয়ে নগরের দায়িত্ব দেয় তাহলে ইনশাআল্লাহ নগরীর প্রধান প্রধান সমস্যা গুলি- যেমন যানজট, কুমিল্লার জলজট, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়, আমাদের ইশতেহারে ও ছিল। নগর ভবনকে সকলের জন্য চব্বিশ ঘন্টাই আমরা উন্মুক্ত রাখবো। যেকোনো সমস্যা আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য চেষ্টা করব।'
এনটি