আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে বাইরে হাত বাড়িয়ে ছবি তোলায় সময় সিগন্যালে হাত আটকে রোহান (১৭) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রোহান চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার রায়হান হোসেনের ছেলে ও উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ভোকেশনাল সেকশন) দশম শ্রেণির ছাত্র।
জানা যায়, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে উথলী রেলস্টেশন থেকে চুয়াডাঙ্গামুখী মহানন্দ লোকাল ট্রেনে চড়ে রোহান। বিকেলে ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা পৌঁছালে সেখানে নেমে পড়ে রোহান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে খুলনাগামী গোয়ালন্দ মেইল ট্রেনে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করে। ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে গেলে রোহান ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে বাইরে হাত বাড়িয়ে সেলফি তোলার সময় একটি সিগন্যালের সাথে ধাক্কা লাগলে তিনি ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে। এ সময় তার মাথা ও বাম পায়ে আঘাত লাগলে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা রোহানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অথবা ঢাকা পঙ্গু হাপসাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: নূরজাহান রুমি বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৫টার পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা অজ্ঞাত এক যুবককে জরুরি বিভাগে নেয়। এ সময় জানতে পারি সে ট্রেন থেকে পড়ে যেয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। তার বাম পায়ের পাতার বেশিরভাগ অংশ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এছাড়াও মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় দুই কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে সার্জারি বিভাগে অবজারভেশনে রাখা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যতদ্রত সম্ভব রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
এদিকে, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিচ্ছিল পরিবার। পথেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার হাটগোপালপুর নামক স্থানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রোহানের চাচা সবেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পরে ওই অ্যাম্বুলেন্সযোগেই পরিবারের সদস্যরা রোহানের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
এনটি