আওয়ার ইসলম ডেস্ক: একটি দেয়ালে কাগজ সাঁটানো। তাতে লেখা, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেন, যে ব্যক্তি আযানের সময় কথা বলবে মৃত্যুর সময় তার কালিমা নসীব হবে না।
এটি একটি জাল বর্ণনার বক্তব্য; এখানে একটু ভিন্ন ভাষায় পেশ করা হয়েছে। উক্ত জাল বর্ণনাটি সম্পর্কে এ বিভাগেই ইতিপূর্বে (ডিসেম্বর ২০০৫) লেখা হয়েছে। বর্ণনাটি হল-
مَنْ تَكَلَّمَ عِنْدَ الأَذَانِ خِيفَ عَلَيْهِ زَوَالُ الإِيمَانِ.
যে ব্যক্তি আযানের সময় কথা বলবে তার ঈমান চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
আল্লামা সাগানী রাহ. একে জাল বলেছেন। -রিসালাতুল মাউযূআত ১২; কাশফুল খাফা ২/২২৬, ২৪০
এ বর্ণনার ‘ঈমান চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে’- এ কথাকেই ‘মৃত্যুর সময় তার কালিমা নসীব হবে না’ বলে ব্যক্ত করা হয়েছে। সুতরাং এ কথাটি জাল ও ভিত্তিহীন।
আযানের সময় আযানের উত্তর দেওয়া উচিত। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ، فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ.
যখন আযান শুনবে তখন মুআযযিন যা বলে তোমরাও তাই বল (অর্থাৎ আযানের জবাব দাও)। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৮৩
আর আযানের জবাব কীভাবে দেবে তাও হাদীসে শেখানো হয়েছে; মুআযযিন যা বলে তা-ই বলবে, তবে হাইয়া
আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ-এর সময় ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবে। এরপর দরূদ শরীফ পড়বে, তারপর দুআ পড়বে।
এক হাদীসে আযানের জবাব উল্লেখ করে বলা হয়েছে- যে ব্যক্তি দিল থেকে আযানের জবাব দেবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (দ্র. সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৮৫)
সুতরাং আমরা আযানের সময় কথাবার্তা গল্পগুযবে লিপ্ত না থেকে আযানের জবাব দেব এবং এ মহা ফযীলত লাভের চেষ্টা করব।
সূত্র: আল কাউসার।
এনটি