সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


প্রধানমন্ত্রীকে টিআইবির সাধুবাদ, দিল যে পরামর্শ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার যে পরামর্শ দিয়েছেন, তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সাধুবাদ জানান।একইসঙ্গে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দ্রুত একটি স্বাধীন অর্থনৈতিক কৌশলবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে তিনি।

টিআইবি বলছে, কমিটি সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। সরকারকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ দিকনির্দেশনা দিতে দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এ কমিটি হতে পারে বলেও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি বলেছে, সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার যে পরামর্শ দিয়েছেন, তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, একদিকে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অন্যদিকে বিপুল আমদানি ব্যয়ে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা বা রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। এসব মোকাবিলায় ব্যয় কমানোসহ জনকল্যাণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ওপর সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সুচিন্তিত অর্থনৈতিক কর্মকৌশল ঠিক করতে হবে। একইসঙ্গে তা সাহসের সঙ্গে বাস্তবায়নও জরুরি।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান আর্থসামাজিক প্রভাবের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও সম্ভাব্য খাদ্য ঘাটতিসহ বহুমুখী সংকটের মুখোমুখি হতে পারে। বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা অনুসারে, এ ধরনের সংকটে যে কোনো দেশেই সুশাসন ব্যাহত হয়। দুর্নীতি ও অর্থপাচারসহ আর্থিক খাতের বহুমুখী অনিয়ম গভীর ও ব্যাপক হয়। আর্থসামাজিক বৈষম্য ও দারিদ্র্য বাড়ে। পাশাপাশি মৌলিক মানবাধিকারের সুরক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংকট মোকাবিলায় কৌশল প্রণয়নে বস্তুনিষ্ঠ, পেশাগত উৎকর্ষ, বিজ্ঞানভিত্তিক ও নিরপেক্ষ দিকনির্দেশনা সরকারকে বিশেষভাবে সহায়তা করবে। সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলা করে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১-এর লক্ষ্য অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয় ও শূন্য দারিদ্র্য নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কৌশল প্রণয়নে এ কমিটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ