নুরুদ্দীন তাসলিম।।
১১৬ আলেম ও ওয়ায়েজকে ধর্মব্যবসায়ী আখ্যা দেওয়া গণকমিশনের কোনও ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘কোন তথ্যের ভিত্তিতে এই শ্বেতপত্র তৈরি করা হয়েছে, তাও আমার জানা নেই।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তারা যাদের নামে সন্ত্রাস কিংবা দুর্নীতির দায়ভার দিচ্ছে— সেটা আমরা দেখিনি। তাই এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারবো না। যে অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই, সে অভিযোগ আমরা আমলে নিই না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন গবেষক আলেম, ইসলামিক স্কলার ও চট্টগ্রাম আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি মাদরাসার মুহাদ্দিস ড. আফম খালিদ হুসাইন।
তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেহেতু নিজেই বলেছেন গণকমিশনের কোন ভিত্তি নেই তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, ডলারের দরপতনসহ বিভিন্ন নাজুক অবস্থা বিরাজমান। এই পরিস্থিতিতে দেশকে অস্থিতিশীল ও আলেম-ওলামাকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে একটি চক্র এই ধরণের কাজ করে যাচ্ছে। ভিত্তিহীন এমন অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
একই বিষয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, শুরু থেকেই আমরা গণকমিশনের কার্যক্রমকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পায়তারা হিসেবে দেখে আসছি।
‘আমরা বরাবরই বলে এসেছি এই কমিশনের কোন ভিত্তি নেই। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে ওলামায়ে কেরামের দাবির যথার্থতা আরো স্পষ্ট হল’ বলে মন্তব্য করেছেন জমিয়তের মহাসচিব।
তিনি আরো বলেন, প্রকৃত আলেমরা মাহফিলের মাধ্যমে মানুষকে ধর্মের প্রতি দাওয়াত দেন, তারা ধর্ম ব্যবসা করেন না। যারা মানুষকে ধর্মের প্রতি আহ্বানকারীদের ধর্ম ব্যবসায়ী বলেন বোঝা যায় তারাই মূলত ধর্ম-বিদ্বেষী।
এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আওয়ার ইসলামকে বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ তার বক্তব্যে যে কথা বলেছেন দেশের মানুষ ও আলেম সমাজ শুরু থেকেই তা বলে আসছেন। মন্ত্রী তার বক্তব্যের মাধ্যমে আপমর জনতার কথাকেই সমর্থন করলেন।
তিনি আরো সংযোগ করেন, শুধু বক্তব্য দিয়ে দায় এড়িয়ে গেলে চলবে না। বরং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।